স্বাস্থ্যখাতকে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব করতে মোংলায় অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্যখাতকে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব করার লক্ষ্যে ‘গ্রীন হেলথ কেয়ার ইনিশিয়েটিভ (জিএইচআই)’ এর জেলা পর্যায়ে এক অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা সম্প্রতি বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হয়।
‘নারী ও কিশোরীর জলবায়ু পরিবর্তন সহনশীলতা বৃদ্ধিকরণ’ প্রকল্পের আওতায় এ সভার উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ. টি. এম. সাইফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য পেশাজীবী এবং উন্নয়ন সহযোগীরা অংশগ্রহণ করেন।
কি-নোট উপস্থাপন করেন প্রফেসর ডা. মো. ইকবাল কবির, পরিচালক ও সমন্বয়কারী, ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড হেলথ প্রমোশন ইউনিট, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। তিনি জিএইচআই-এর লক্ষ্য ও বাস্তবায়ন পদ্ধতি তুলে ধরে ব্যাখ্যা করেন কীভাবে জলবায়ু-স্মার্ট স্বাস্থ্যসেবা স্বাস্থ্যঝুঁকি হ্রাস করে, সেবার মানোন্নয়ন ঘটায় এবং দীর্ঘমেয়াদে টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখে।
পরবর্তীতে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাহিনুর রহমান স্থানীয় বাস্তবায়নের সাফল্য উপস্থাপন করে জানান, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জ্বালানি দক্ষতা, পানি সংরক্ষণ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কার্বন নিঃসরণ ১৫৩ টন CO₂e থেকে ১০১ টন CO₂e-তে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। এ সাফল্যের কারণে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিবেদিত টিম ও বাস্তবায়নকারী সংস্থা পার্টনার্স ইন হেলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (পি এইচ ডি) কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
ইউএনএফপিএর স্বাস্থ্য প্রধান ডা. বিভাভেন্দ্র সিং রঘুভাশি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘এটি কোনো সম্পদনির্ভর পদক্ষেপ নয়; বরং সীমিত সম্পদ ও নিবেদিত টিমের মাধ্যমে কীভাবে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিবেশবান্ধব ও টেকসই স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠা করতে পারে, তার একটি মডেল। কার্বন নিঃসরণের উল্লেখযোগ্য হ্রাস এখানে প্রমাণভিত্তিক তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে, যা বাংলাদেশে জলবায়ু-স্মার্ট স্বাস্থ্যসেবা বাস্তবায়নের সুস্পষ্ট দৃষ্টান্ত।’
আলোচনায় অংশ নেন বাগেরহাট সিভিল সার্জন ডা. এ. এস. এম. মাহবুবুল আলম, ইউএনএফপিএর প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট (মাতৃস্বাস্থ্য) ডা. অনিমেষ বিশ্বাস এবং পার্টনার্স ইন হেলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (পিএইচডি) এর সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর ফাতেমা শওকত জাহান রোজি। তারা টেকসই স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমকে কীভাবে সম্প্রসারণ ও এগিয়ে নেওয়া যায় সে বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতামত ও কৌশল তুলে ধরেন।
সভাটির আয়োজন করে পার্টনার্স ইন হেলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (পিএইচডি), কারিগরি সহায়তা প্রদান করেছে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল এবং নেতৃত্ব প্রদান করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড হেলথ প্রমোশন ইউনিট।