রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে মিয়ানমার ইতিবাচক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে পূর্বনির্ধারিত আলোচনার মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে মিয়ানমার ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পর মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা কিছু ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছি। আমরা তাদের (মিয়ানমার) বলেছি, আপনাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়ার একটি সুযোগ রয়েছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য একটি তালিকা দিয়েছে এবং বাংলাদেশ তাদের শুরু করতে বলেছে।
ড. মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধান না করা হলে এই অঞ্চলে শান্তি ও উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। তিনি আরো বলেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে মিয়ানমারের সঙ্গে মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে বাংলাদেশের সঙ্গে ২০১৭ সালে সম্পাদিত দ্বিপক্ষীয় চুক্তির ভিত্তিতে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করতে মিয়ানমার অঙ্গীকারবদ্ধ বলে দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি মিয়ানমারের আন্তর্জাতিক সহযোগিতাবিষয়ক মন্ত্রী কাইয়া টিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনকে লেখা এক চিঠিতে এ কথা জানান।
এ ছাড়া বাংলাদেশসহ সব প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্টবিষয়ক সমস্যা সমাধানে মিয়ানমার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বলে মন্ত্রী চিঠিতে উল্লেখ করেন।
কাইয়া টিন বলেন, মিয়ানমার প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে পারস্পরিক অংশীদারত্বের ভিত্তিতে যেকোনো দ্বিপাক্ষিক বিষয়ের সমাধান করতে চায়।
গত ১৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চীন, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের মাধ্যমে মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরুর আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।