লক্ষ্মীপুরে আন্তজেলা চোরচক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার : র্যাব
লক্ষ্মীপুরে কিশোর ইয়াছির আরাফাতের ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশা চুরির ঘটনায় আন্তজেলা চোরচক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। চুরি হওয়া অটোরিকশাটি উদ্ধার করে তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন র্যাব-১১-এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন।
র্যাব জানায়, গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে র্যাব-১১ সিপিসি-৩ নোয়াখালীর একটি আভিযানিক দল অটোরিকশাটি উদ্ধারসহ চোরদের গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে। নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে অভিযান চালিয়ে আন্তজেলা চোরচক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলা করে তাদের সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হবে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রোবেল, মো. নিজাম, মো. হেলাল, শাহ মো. মঞ্জুরুল করিম নাঈম ও মো. আব্দুল জলিল। তাদের স্বীকারোক্তির মাধ্যমে নোয়াখালীর বিনোদপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রুবেলের গ্যারেজ থেকে চোরাই অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়।
প্রসঙ্গত, অভাবের তাড়নায় কিশোর বয়সে ইয়াছির দৈনিক হাজিরায় রিকশা চালানো শুরু করে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি তার রিকশায় ছদ্মবেশী চোরচক্রের দুই সদস্য ভবানীগঞ্জ থেকে লক্ষ্মীপুর মজুপুর এলাকার ফলোয়ান মসজিদ এলাকায় আসে। এ সময় তারা ইয়াছিরকে একটি বিল্ডিংয়ের তৃতীয় তলায় সাউন্ড বক্স আনার জন্য পাঠায়। এরমধ্যেই রোবেল, নিজাম ও হেলাল রিকশাটি চুরি করে পালিয়ে যায়।
পরে বিল্ডিং থেকে নেমে রিকশা খুঁজে না পেয়ে অঝোরে কাঁদতে থাকে ইয়াছির। গণমাধ্যমকর্মীদের নজরে পড়লে একটি তথ্যবহুল সংবাদ পরিবেশিত হয়। বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। পরে ঢাকার বেসরকারি সংস্থা প্রজেক্টস ফর হিউম্যানিটি (পিফরএইচ) উদ্যোগে ১০ ফেব্রুয়ারি ইয়াছিরকে নতুন একটি অটোরিকশা কিনে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে সংবাদটি নজরে পড়লে র্যাব-১১ রিকশাটি উদ্ধার ও চোরচক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করে। প্রথমে তিন চোরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিন চোর রিকশাটি নাঈম ও জলিল নামে দুই ব্যক্তির কাছে ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে বলে জানায়। পরে তিন চোরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নাঈম ও জলিলকেও গ্রেপ্তার করা হয়।