লক্ষ্মীপুরে জলদস্যুদের হামলায় ৩ জেলে গুলিবিদ্ধ, একজন অপহরণ
লক্ষ্মীপুরের রামগতির মেঘনা নদীতে জলদস্যুদের হামলায় ৩ জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এসময় মহিউদ্দিন (৩৫) নামে এক জেলেকে নিয়ে গেছে দস্যুরা। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিটের দিকে চর আবদুল্লাহ ইউনিয়নের পশ্চিম পাশে নদীতে এ ঘটনা ঘটে। রাত ৪টার দিকে জেলেদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন মৎস্য আড়ৎদাররা।
আহতরা হলেন মো. আব্বাস মাঝি (২৮), মো. ফারুক (৩৫) ও মো. ইউসুফ (২৭)। আব্বাস কমলনগর উপজেলার চরফলকন এলাকার তসির আহম্মদের ছেলে, ফারুক নোয়াখালীর সুবর্ণ চরের আলমগীর ফরাজির ছেলে এবং ইউসুফ রামগতির পশ্চিম চরকলাকোপা গ্রামের মো. ইউনুসের ছেলে। এছাড়া অপহৃত মহিউদ্দিন নোয়াখালীর সুবর্ণচর এলাকার নানু ফরাজির ছেলে।
আহতরা জানায়, আব্বাস মাঝিসহ ছয় জন জেলে মেঘনায় মাছ শিকারে যায়। নদীতে জাল ফেলার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় জেলে নৌকায় দস্যুরা গুলি ছোঁড়ে। এতে তিন জেলে গুলিবিদ্ধ হয়। এরমধ্যে আব্বাস ও ইউসুফের বাম হাতে গুলিবিদ্ধ হয়। আহত ফারুকের ডান পায়ের ওপরের অংশে ও ডান হাতে গুলি লেগেছে। এসময় নৌকা থেকে মহিউদ্দিনকে নিয়ে যায় জেলেরা। খবর পেয়ে রাত ২টার দিকে কমলনগর উপজেলার লুধুয়া মৎস্যঘাট এলাকার আড়ৎদাররা ঘটনাস্থল পৌঁছে তাদেরকে উদ্ধার করে। রাত ৪টার দিকে তাদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত আব্বাস মাঝি বলেন, ‘আমরা নদীতে জাল ফেলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। হঠাৎ করে দূর থেকে আমাদের নৌকাতে জলদস্যুরা গুলি ছোঁড়ে। এতে আমরা তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছি। আমাদের সহকর্মী মহিউদ্দিনকে দস্যুরা নিয়ে গেছে।’
কমলনগরের লুধুয়া মাছঘাটের মৎস্য আড়ৎদার মো. লিটন জানান, মধ্যরাতে আব্বাস মাঝির নৌকাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে কমলনগর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল কুদ্দুছ ও আলেকজান্ডার কোষ্টগার্ডের কন্টিনজেন্ট কমান্ডারকে জানিয়ে ঝুঁকি নিয়ে তারা (মাছ ব্যবসায়ীরা) নিজেরাই ঘটনাস্থল থেকে আহত জেলেদের উদ্ধার করে।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক একে আজাদ বলেন, ‘তিনজন গুলিবিদ্ধ রোগী এসেছেন। তাদেরকে ভর্তি রাখা হয়েছে। তারা আমাদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।’
বড়খেরী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (ইনচার্জ) ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ‘ভোলার দৌলতখান এলাকার মেঘনা নদীতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। রাতেই ঘটনাটি শুনেছি।’