সরকার আজ দিশেহারা : ড. মোশাররফ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘সরকার সব দিক থেকে ব্যর্থ হয়ে আজ দিশেহারা। এজন্য তারা কখন কী করতে হবে, বুঝতে পারতেছে না।’ তিনি বলেন, ‘রক্ত দিয়ে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। প্রত্যাশা ছিল স্বাধীনভাবে বসবাস করা, গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা, অর্থনৈতিক বৈষম্য থাকবে না। কিন্তু, আজকের বাংলাদেশে পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৈষম্য।’
আজ রোববার (২ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকার রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন ড. খন্দকার মোশাররফ। ‘বিনা বিচারে হত্যা-গুম ও নির্যাতন, আর কতকাল সইবে বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম।
সরকারের অধীনস্ত কর্মকর্তারাও অত্যন্ত হতাশ ও দিশেহারা বলে মন্তব্য করে ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘এই অবৈধ স্বৈরাচারী সরকারের হুকুমে তারা যে অন্যায়গুলো করেছে, ভবিষ্যতে তাদেরকে তো জবাবদিহি করতে হবে। এজন্য তারা নার্ভাস। এই সরকারের নির্দেশে র্যাব গুম করেছে ৬০০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে। হত্যা করেছে হাজারের বেশি নেতাকার্মী। মিথ্যা ও বানোয়াট মামলার কোনো অভাব নেই।’
নওগাঁয় সরকারি চাকরিজীবী জেসমিন আক্তারের মৃত্যুর ঘটনা উল্লেখ করে মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এই সরকারের স্বেচ্ছাচারী ও স্বৈরাচারী আচরণ সব পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। তা না হলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে না। সাংবাদিক শামসুজ্জামানের কী দোষ? এ দেশে তো দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রয়েছে।’
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘আমাদের দেশে এমন কিছু হয়েছে, যার কারণে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিতে বাধ্য হয়েছে। র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তবু র্যাব কী পরিমাণ বেপরোয়া হয়ে জেসমিনকে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করেছে।’
ড. মোশাররফ বলেন, ‘এই সরকার গণতন্ত্র হত্যা করেছে, মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। মানুষ আজ বঞ্চিত। এদেশে শুধু সংসদ নির্বাচন নয়, স্থানীয় নির্বাচনগুলোতেও জনগণ ভোট দিতে পারেনি।’
ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও জাতীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য নাসের মো. রহমতুল্লাহ প্রমুখ।