সাংবাদিক শামসের মায়ের খোঁজ নিতে গেলেন পেশাজীবী পরিষদের নেতারা
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাগারে থাকা প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসের বাসায় গেছেন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের নেতারা। আজ শুক্রবার (৩১ মার্চ) বিকেলে পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও সদস্য সচিব সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরীর নেতৃত্বে পেশাজীবীদের একটি প্রতিনিধি দল তার বাসায় যান। এ সময় পরিবারটির সদস্যদের প্রতি সহমর্মিতা জানান তারা।
পেশাজীবী পরিষদের নেতারা শামসের মা করিমন নেসার সঙ্গে দেখা করে পরিবারের সদস্যদের সার্বিক খোঁজখবর নেন। পেশাজীবী নেতাদের পেয়ে শামসুজ্জামানের মা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমার ছেলের কী অপরাধ? তাকে কেন এভাবে ধরে নিয়ে গেল? শামসকে বললে সে নিজেই থানায় চলে যেত।’
‘৩৫ ঘণ্টা তো আমরা তার খোঁজই পাইনি। তাহলে কি সত্য লেখা যাবে না? ছেলেকে অনেক বার বলেছি, বাবা লেখালেখি ছেড়ে দাও। আমার শামস বলেত, মা আমি তো অসত্য লিখি না। সত্য লেখার জন্য যদি আঘাত আসে আসুক, তারপরও লিখে যাব।’
আহাজারি করতে করতে এই মা আরও বলেন, ‘আমি আমার এক সন্তানকে হারিয়েছি, আরেক সন্তানকে হারাতে চাই না। আপনারা আমার সন্তানকে এনে দিন।’
এ সময় শামসের মুক্তির জন্য দেশের বিভিন্ন সংগঠন ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বিবৃতি দেওয়ায় করিমন নেসা কৃতজ্ঞতা জানান।
পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘এই সরকারের আমলে গণমাধ্যম কর্মীদের শঙ্কা ও ভয়ের মধ্যে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। তাই তারা এখন সত্য তুলে ধরতে পারছেন না। তাদেরকে এখন সেলফসেন্সরশিপ করতে হচ্ছে। সাংবাদিকরা খুন হচ্ছেন, বিচারও পাচ্ছে না। পাশাপাশি সরকারের সমালোচনা করলে রোষানলের শিকার হয়ে বন্ধ করা হচ্ছে বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইন।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পেশাজীবী নেতা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, অধ্যাপক ড. শামসুল আলম সেলিম, অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান, অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম ,অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিকুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার ফখরুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আলম আকন্দ, ইঞ্জিনিয়ার সাখাওয়াত হোসেন, বিপ্লবউজ্জামান বিপ্লব প্রমুখ।