সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স : প্রধান বিচারপতি
দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে জুডিশিয়ারির অবস্থান জিরো টলারেন্স বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি আয়োজিত বিজয়া পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ধর্ম আমাদের শিক্ষা দেয় উদারতা, মানবিকতা, অসাম্প্রদায়িকতা ও সহিষ্ণুতা। আমাদের দীর্ঘকালের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সুমহান ঐতিহ্য আমাদের ধারণ করতে হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে জুডিশিয়ারির অবস্থান জিরো টলারেন্স। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার চার্জশিট প্রদানের ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে বিচার নিষ্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
অনুষ্ঠানে আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘এই দেশ সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হবে নাকি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হবে তা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পার্মানেন্টলি সেটেল হয়ে গিয়েছে। আমরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। আমাদের সংবিধানে মাইনরিটি বলে কোনো শব্দ নেই। আসুন, আমরা সবাই এটা ভাবি যে, আমরা বাঙালি ও বাংলাদেশের নাগরিক। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, যতদিন পদ্মা-মেঘনা-যমুনা বহমান থাকবে ততদিন এদেশে সাম্প্রদায়িকতা মাথাচাড়া দিতে পারবে না। আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই।’
অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘যারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি নষ্ট করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান কঠোর। তিনি যেই হোন না কেন, তাকে ন্যূনতম ছাড় দেওয়া হবে না। কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করতে পারে, সেটাও সফল হবে না।’
অনুষ্ঠানের সভাপতি ও অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আবার সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে আমরা সবাই এটাকে প্রতিহত করবো। এ বিষয়ে সরকারের দৃঢ় পদক্ষেপ রয়েছে এবং এ ধরনের কোনো মামলার আমরা ছাড় দেইনি।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন হাইকোর্টের বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, ধর্মীয় বক্তা পূজ্যপাদ স্বামী পূর্ণাত্মানন্দজী মহারাজ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সহসভাপতি মুহম্মদ শফিক উল্যাহ, বিজয়া পুনর্মিলনী উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক জয়া ভট্টাচার্য।