সিইপিএ নিয়ে আলোচনায় সম্মত ঢাকা-দিল্লি
বাংলাদেশ ও ভারত তাদের জনগণের সুবিধার জন্য একটি ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তির (সিইপিএ) জন্য আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে তারা এ বিষয়ে সম্মত হন।
এদিন সন্ধ্যায় নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল নিজ নিজ পক্ষের নেতৃত্ব দেন।
বৈঠকের পর ভারতীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৈঠকে উভয় পক্ষই দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করার জন্য বিস্তারিত আলোচনা করেছে। তারা সম্মত হয়েছে যে, এটি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে, জীবনযাত্রার মান বাড়াবে এবং ভারত ও বাংলাদেশে ব্যাপক সামাজিক ও অর্থনৈতিক সুযোগ প্রদান করবে।
দুদেশের মন্ত্রী বলেছেন, অংশীদারিত্ব নির্ভরযোগ্য এবং টেকসই আঞ্চলিক মূল্য চেইন (আরবিসিএস) প্রতিষ্ঠা করবে।
দ্বিপাক্ষিক এফটিএ অন্বেষণের জন্য দুই দেশ সম্মত হওয়ার পরে একটি ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তির ওপর যৌথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গবেষণাটি নিশ্চিত করেছে যে চুক্তিটি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বাণিজ্যিক অংশীদারিত্বের যথেষ্ট বর্ধনের জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি প্রদান করবে।
এ ছাড়া মন্ত্রীরা নন-ট্যারিফ বাধা ও বন্দর নিষেধাজ্ঞা অপসারণ, সীমান্ত হাট পুনরায় চালু, সমন্বয় এবং উভয় পক্ষের মান ও পদ্ধতির পারস্পরিক স্বীকৃতিসহ পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ-ভারত অর্থনৈতিক সম্পর্কের পূর্ণ সম্ভাবনা উপলব্ধি করতে ভারতীয় রুপিতে বাণিজ্য নিষ্পত্তি, সংযোগ এবং বাণিজ্য অবকাঠামো শক্তিশালীকরণের বিষয়েও আলোচনা হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বৈঠক চলাকালীন উত্থাপিত সমস্যাগুলো সমাধান করতে এবং ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে দুই নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদির যৌথ বিবৃতিতে প্রত্যাশিত ফলাফলগুলো অর্জন নিশ্চিত করার জন্য দুই মন্ত্রী একত্রে কাজ করতেও সম্মত হন।
মন্ত্রী টিপু মুনশি বর্তমানে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের আমন্ত্রণে দুই দিনের সরকারি সফরে ভারতে রয়েছেন।
দুই দেশের বাণিজ্যমন্ত্রীদের মধ্যে সর্বশেষ বৈঠক হয় ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকায়।