সুবিধাবঞ্চিত শিশুরাই আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করবে : এসপি টাঙ্গাইল
‘সুবিধাবঞ্চিত শিশুরাই আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করবে। তাদের যদি সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলা যায়, তাহলে তারা সমাজের বোঝা না হয়ে সম্পদে পরিণত হবে’ বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার।
জেলা পুলিশ লাইনস মাঠে গতকাল শনিবার (১৮ মার্চ) সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অবৈতনিক ফ্রেন্ডশিপ স্কুল আয়োজিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, ‘সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা সমাজেরই একটি অংশ। তাদের ব্যতিরেখে সমাজের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংবাদমাধ্যম সিএনআইয়ের প্রধান নির্বাহী ও স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা জুয়েল আহমেদ।
পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার আরও বলেন, ‘সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের স্বপ্ন পূরণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে ফ্রেন্ডশিপ স্কুল। দেশ ও সমাজের উন্নয়নের জন্য এই স্কুল যে ভূমিকা রাখছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আমি এই স্কুলের উন্নয়নকল্পে আমার সাধ্য অনুযায়ী কাজ করে যাব।’
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘সবকিছু দেখে মনে হচ্ছে—অদূর ভবিষ্যতে এই স্কুলের কার্যক্রম টাঙ্গাইলসহ সারা দেশে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। তবে এ জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। এত ভালো একটি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। আসলে ফ্রেন্ডশিপ স্কুল সমাজে ভালো কাজের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আমি প্রত্যক্ষভাবে এই স্কুলের কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছি। এই স্কুলের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।’ সিএনআইয়ের টাঙ্গাইল প্রতিনিধি ও মানবাধিকারকর্মী মো. রাশেদ খান মেননের (রাসেল) সঞ্চালনায় শিশুদের মনোমুগ্ধকর ডিসপ্লে, খেলাধুলা, যেমন খুশি তেমন সাজো, অভিভাবকদের মিউজিক্যাল চেয়ার খেলাসহ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তোলে। পরে প্রধান অতিথি পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার খেলাধুলায় অংশগ্রহণকারী ও বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
উল্লেখ্য, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের স্বপ্নের অবৈতনিক ফ্রেন্ডশিপ স্কুলে প্রায় দুই শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিশু শিক্ষার্থী বিনা বেতনে লেখাপড়া করার সুযোগ পাচ্ছে।
সবশেষে পুলিশ সুপার তাঁর নিজ উদ্যোগে এই স্কুলের সব শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে ইউনিফর্ম উপহার দেন। অনুষ্ঠানে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকতা, শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবক, খুদে শিক্ষার্থী, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।