সেই ঘটনার আগেই বদলি ইউএনও-ওসি
বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি মডেল থানার ওসির বদলি গত ১৮ আগস্টের ঘটনার আগেই হয়েছিল। যদিও এ নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে গুঞ্জন।
ইউএনও মনিবুর রহমানের বদলির বিষয়ে বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার জানিয়েছেন, ইউএনও মুনিবর রহমানের বদলি তাঁর স্বইচ্ছায় গত ১০ আগস্ট হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারি সচিব হিসেবে। কিন্তু উপজেলার এসিল্যান্ড করোনা আক্রান্ত থাকায় তাঁকে কাজ চালিয়ে নিতে বলা হয়েছে। তিনি সুস্থ হয়ে কাজে যোগ দিলেই ইউএনও তাঁর কাছে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে চলে যাবেন।
এদিকে, গত ১৮ আগস্ট সকালে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলামের বদলির আদেশ হয় সিলেট রেঞ্জে। ওসি জানিয়েছেন, যেকোনো মুহূর্তে তিনি স্টেশন ছাড়তে পারেন। বরিশালের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এনামুল হক এই বদলির সত্যতা নিশ্চিত করেন। তবে এদের বদলি ১৮ আগস্টের রাতের ঘটনায় নয়। তাদের বদলি ছিল একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।
গত বুধবার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি শাহাজাদা মো. আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই আদেশ দেওয়া হয়। আদেশে ২৫ আগস্টের মধ্যে তাকে নতুন কর্মস্থলে যোগ দিতে বলা হয়েছে। ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পদে যোগদান করেন নুরুল ইসলাম।
গত ১৮ আগস্ট রাতে উপজেলা কমপ্লেক্সের ভেতরে থাকা ব্যানার অপসারণ নিয়ে বিরোধে জড়ায় আওয়ামী লীগ এবং সদরের ইউএনও মুনিবুর রহমান। সেই ঘটনায় হামলা সংঘর্ষ এবং গুলিবর্ষণে পাঁচজন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয় ক্ষমতাসীন দলের ৩০ নেতাকর্মী। পরে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে প্রধান আসামি করে পৃথক দুটি মামলাও করেন ইউএনও ও পুলিশ। যার পাল্টা হিসেবে রোববার বরিশালের আদালতে আবার ইউএনও মুনিবুরসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়েরের আবেদন করেন বিসিসির একজন প্যানেল মেয়র ও একজন কর্মকর্তা। তবে রাতের সমঝোতা বৈঠকের পর এসব জটিলতা কেটে যাবে এমনটাই মনে করছেন সবাই।