‘স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে’ লঞ্চের কেবিনে, সকালে মিলল তরুণীর লাশ
ঢাকা-বরিশাল নৌপথে একটি লঞ্চ থেকে শারমিন আক্তার (২৬) নামের এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঢাকা থেকে বরিশালে যাওয়ার পথে এমভি কুয়াকাটা-২ লঞ্চের নিচতলায় একটি কেবিন থেকে আজ শুক্রবার সকালে লাশটি উদ্ধার করা হয়। ওই তরুণীকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
এরই মধ্যে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
লঞ্চের লস্কর মো. সোহাগ জানান, এক হাজার ৮০০ টাকায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে দুজন কেবিনটি ভাড়া নিয়েছিলেন। সকালে কেবিনটি বাইরে থেকে তালাবদ্ধ দেখতে পাওয়া যায়। সন্দেহ হলে তালা খুলে কেবিনে ওই তরুণীর লাশ দেখতে পাওয়া যায়। এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হয়। সোহাগের ধারণা, দিবাগত রাত ৩টার দিকে শ্বাসরোধ করে ওই তরুণীকে হত্যার পর তাঁর সঙ্গে থাকা পুরুষটি পালিয়ে যান।
লস্কর সোহাগ বলেন, ‘আমি ভাড়া পাইছি, ভাড়া দিছি। কার মনে কী, তা তো জানি না।’
সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করলে আসল রহস্য বের হয়ে আসবে বলে জানিয়েছেন বরিশালের কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক লোকমান হোসেন। তিনি বলেন, ‘এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড কি না, সেটা নিশ্চিত নই। তবে আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হব। এ ছাড়া ওই তরুণীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।’
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে ওই তরুণীর নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। তবে, বিস্তারিত কোনো তথ্য মেলেনি।’
বরিশাল নৌ-পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘প্রতি বছর লঞ্চে হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটছে। কোনো লঞ্চে পুলিশ নেই, আনসারও নেই ঠিকমতো। গাফিলতি রয়েছে বলে মনে করছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে, এটি হত্যাকাণ্ড। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিকে খুঁজে বের করা হবে।