হত্যা মামলায় স্বামীকে হয়রানির প্রতিবাদে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন
ঢাকায় বসবাসকারী ব্যবসায়ী মো. হুমায়ূন কবীর খান বিল্লালকে একটি হত্যা মামলায় প্রধান আসামি করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বিল্লালের স্ত্রী ফারহানা কবীর গোপালগঞ্জ জেলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
ফারহানা কবীর বলেন, আমাদের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার ভাকুড়ী গ্রামে। ব্যবসায়িক কারণে আমরা পরিবারসহ ১৬ বছর ধরে ঢাকায় বসবাস করি। গ্রামের বাড়িতে আমরা তেমন আসি না। আমার শাশুড়ি মাঝেমধ্যে গ্রামের বাড়িতে এসে থাকেন। আমার স্বামীর বংশের চাচা আলী খান এবং তার ছেলে রিপন খান, সুমন খান, মারুফ খান ও রাজিব খান এলাকার লাঠিয়াল, সন্ত্রাসী ও বেয়াদর প্রকৃতির লোক। আমার স্বামীর কোনো ভাই-বোন নেই। আমার স্বামীর জন্মের নয়দিন আগেই আমার শ্বশুর মারা যান। আমরা ঢাকায় থাকার কারণে প্রতিবেশী উক্ত লাঠিয়াল বাহিনী আমার স্বামীর পৈতৃক ও ক্রয়কৃত সম্পত্তি অবৈধভাবে ভোগ দখল করার উদ্দেশ্যে পাঁয়তারা করতে থাকে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত বছর আমাদের গ্রামের বাড়ির জায়গায় একটি অ্যাগ্রোফার্ম করতে গেলে বংশের চাচা আলী খান ও তার ছেলেরা বাধা দেন। খবর পেয়ে আমার স্বামী হুমায়ূন কবীর বাড়িতে আসেন। বাধা দেওয়ার বিষয়ে শুনতে গেলে স্বামীসহ পরিবারের সবাইকে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয় তারা। একপর্যায়ে আমরা পুনরায় ঢাকায় ফিরে যাই। গত ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর বালুকাটার জের ধরে ভাকুড়া গ্রামে রুহুল শেখকে মারপিট করে একই গ্রামের আলী খান গং। এ ঘটনার জের ধরে পরের দিন ৩০ অক্টোবর দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয় এবং সংঘর্ষে সুমন খান নিহত হয়। কিন্তু ঘটনার পর পরিকল্পিতভাবে আমাদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে ব্যাপক তাণ্ডব সৃষ্টি করে। আমার স্বামী হুমায়ুন কবীর খান বিল্লাল ঘটনাস্থলে না থাকা সত্ত্বেও এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত না থাকা সত্ত্বেও বংশের চাচাতো ভাই রুহুল আমিন খান রিপন বাদী হয়ে আমার স্বামীকে সুমন হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুকসুদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খন্দকার আমিনুর রহমান দীর্ঘ তদন্ত শেষে আমার স্বামী হুমায়ূন কবিরের সুমন হত্যাকাণ্ডে কোনো সম্পৃক্ততা না পেয়ে অভিযোগপত্র থেকে তাঁর নাম বাদ দেন। কিন্তু সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আমার স্বামীকে হয়রানি করার চেষ্টা করছে আলী খান ও তার ছেলেরা। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সাংবাদিকদের প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে গোপালগঞ্জ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।