সুনামগঞ্জে ছয় ভুয়া ডাক্তারকে জেল-জরিমানা
সুনামগঞ্জের দিরাই পৌর শহরে অভিযান চালিয়ে পাঁচ ভুয়া দাঁতের চিকিৎসককে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। সেইসঙ্গে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার নিজের নামের আগে ‘ডাক্তার’ লেখায় তাঁকে জরিমানা করা হয়।
আজ রোববার দুপুরে র্যাব ৯-এর সুনামগঞ্জ ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানির (সিপিসি-৩) কমান্ডার মেজর আবদুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে দিরাই পৌর শহরে এই অভিযান চালানো হয়। এ সময় র্যাবের সঙ্গে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট সম্রাট খীসা, সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার এহছান উজ জামান খান উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানে ভুয়া ডেন্টিস সেজে নামের আগে ডাক্তার লিখে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণার অপরাধে নূর মোহাম্মদকে (২৮) ছয় মাসের জেল ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, বিজন হাওলাদারকে (৩২) চার মাসের জেল ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, মিঠুন কান্তি দাসকে (৩৩) ছয় মাসের জেল ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা, লোকমান উদ্দিনকে (৪৮) ছয় মাসের জেল ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, মো. হারুন অর রশিদকে (৪২) ছয় মাসের জেল ও ১০ হাজার টাকা জরিমান এবং দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. মিজানুর রহমানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এহছান উজ জামান খান জানান, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল অ্যাক্ট ২০১০ অনুযায়ী কোনো স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে এমবিবিএস অথবা বিবিএস ডিগ্রি ছাড়া কেউ নামের আগে ডাক্তার লিখতে পারবেন না। কিন্তু যাদের জেল-জরিমানা করা হয়েছে তাঁরা সবাই এই আইন লঙ্ঘণ করে নামের আগে ডাক্তার লিখে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন। একইভাবে মিজানুর রহমানও আইন অনুযায়ী নামের আগে ডাক্তার লিখতে পারেন না। সে রকম কোনো ডিগ্রির কাগজপত্র তিনি আমাদের দেখাতে পারেননি। তাই তাঁকেও জরিমানা করা হয়।
র্যাব কর্মকর্তা মেজর আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনকে জেলে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে একই সঙ্গে জেল ও জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়। অন্যজনকে শুধু ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।