প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বকে জানতে জ্ঞান অর্জনের জন্য শিক্ষার্থীদের বেশি করে বই পড়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, একমাত্র সাহিত্য চর্চার মধ্য দিয়েই তারা ভুল পথে যাওয়া থেকে বিরত থাকবে।

আজ বুধবার রাজধানীর বাংলা একাডেমিতে অমর একুশে উপলক্ষে মাসব্যাপী গ্রন্থমেলার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ছেলেমেয়েরা আজকে বিপথে (সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ-মাদকাসক্তি) চলে যাচ্ছে। তাদের সেই ভুল পথ থেকে বিরত রাখা যায় কেবল সাহিত্য চর্চার মাধ্যমে। লেখাপড়া, সংস্কৃতি চর্চা যত বেশি হবে ততই তারা ভালো পথে আসবে।’

সরকারপ্রধান বলেন, বইমেলার মধ্য দিয়ে বইমেলা চত্বর একদিকে যাঁরা সাহিত্য চর্চা করেন, যাঁরা প্রকাশকরা এবং যাঁরা বই পড়তে পছন্দ করেন সেই ছোট্ট শিশু থেকে সব বয়সীদের একটি মিলনমেলায় পরিণত হয়।

জাতির পিতার অবদান বলে শেষ করা যাবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। আজকে আমাদের এই একুশের এই গ্রন্থমেলার ব্যাপ্তি আর আমাদের ভূখণ্ডে সীমাবদ্ধ নেই, সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এটা আন্তর্জাতিকভাবেও আজ স্বীকৃত। এখানে সাহিত্য সম্মেলনও হচ্ছে।’

অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের সভাপত্বিতে বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান, সংস্কৃতি সচিব বেগম আকতারী মমতাজ ও প্রকাশকদের পক্ষে বাংলা একাডেমির ফেলো মফিদুল হক।

অনুষ্ঠান উপস্থিত বিদেশি অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য দেন, চীনের রবীন্দ্র সাহিত্য বিশারদ অধ্যাপক ইউ চেন, অস্ট্রিয়ার কবি মেনফ্রেড কোবো, পুয়ের্তোরিকোর মিঁজ লুস মারিয়া লোপেজ, জার্মানির লেখক ও প্রকাশক টবিয়াস বুর্কহাডর ও ভারতের অধ্যাপক চিন্ময় গুহ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকসহ বিভিন্ন পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা, বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশন ও দূতাবাসের কর্মকর্তা, দেশবরেণ্য ব্যক্তিত্ব, কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক ও সাংস্কৃতি সংগঠনের শীর্ষ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে আটজন সাহিত্যিকের হাতে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। পরে প্রধানমন্ত্রী মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখেন। কথা বলেন লেখক ও প্রকাশকদের সঙ্গে।