রায় ফাঁসের মামলায় হুম্মাম কাদেরের জামিন
মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসি কার্যকর হওয়া সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার রায় ফাঁসের মামলায় হুম্মামের জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকার মহানগর হাকিম মাহমুদুল হাসান।
আদালতে হুম্মাম তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক জামিন মঞ্জুর করেন। হুম্মামের আইনজীবী আমিনুল গনি টিটু এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
এ মামলায় গত বছরের ২২ নভেম্বর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে হুম্মাম ও তাঁর মা ফারহাত কাদের চৌধুরীকে আদেশের অনুলিপি পাওয়ার ছয় সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেন। আত্মসমর্পণ করলে তাঁদের জামিন বিবেচনা করতে বিচারিক আদালতকে বলা হয়।
আবেদনের পক্ষে ব্যারিস্টার সাজ্জাদ আলী চৌধুরী শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. শহীদুল ইসলাম খান।
গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর ম্যানেজার মাহবুবুল আহসান ও ট্রাইব্যুনালের দুই কর্মচারীসহ পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ দেন ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনাল। তবে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ও ছেলেকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
বিচারিক আদালতের রায়ে আইনজীবী ব্যারিস্টার এ কে এম ফখরুল ইসলামকে ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বাকি চার আসামিকে সাত বছর করে কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। চার আসামি হলেন—সালাউদ্দিন কাদেরের ব্যবস্থাপক মাহবুব হোসেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কর্মচারী ফারুক হোসেন ও নয়ন আলী, আইনজীবী ফখরুলের সহকারী মেহেদী হাসান।
২০১৩ সালের ১ অক্টোবর সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। তবে রায়ের আগেই সালাউদ্দিন কাদেরের আইনজীবী ও স্বজনরা রায়ের খসড়া কপি ফাঁসের অভিযোগ করেন এবং তা সংবাদকর্মীদের দেখান।
এ ঘটনায় পরের দিন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফরহাত কাদের চৌধুরী এবং ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীসহ আরো পাঁচজনকে আসামি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার এ কে এম নাসির উদ্দিন মাহমুদ শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের ফাঁসি ২০১৫ সালের ২১ নভেম্বর রাতে কার্যকর করা হয়।

আদালত প্রতিবেদক