রাজন হত্যা : চৌকিদার ময়না ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতে
সিলেটে শিশু শেখ সামিউল আলম রাজনকে পিটিয়ে হত্যা মামলার অন্যতম আসামি চৌকিদার ময়না মিয়া লালের সাত দিনের পুলিশি হেফাজত (রিমান্ড) মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বুধবার সিলেট মহানগর হাকিমের প্রথম আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জালালাবাদ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলমগীর হোসেন ময়নাকে ১০ দিন পুলিশের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক শাহেদুল করিম চৌকিদার ময়নার সাত দিনের হেফাজত মঞ্জুর করেন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে সিলেট শহরতলির টুকেরবাজার এলাকা থেকে স্থানীয় চৌকিদার ময়না মিয়া লালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গত ৮ জুলাই সিলেট শহরতলির কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডে প্রকাশ্যে রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় নির্যাতনের ভিডিওচিত্রও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়। লাশ গুম করার সময় স্থানীয় লোকজন হাতেনাতে আটক করেন সিলেট সদর উপজেলার শেখপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মুহিত আলমকে। পরে মুহিতকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় মুহিত, তাঁর ভাই কামরুল ইসলাম, আলী হায়দার ও স্থানীয় চৌকিদার ময়না মিয়া লালকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন রাজনের বাবা।
মুহিতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার পাঁচ দিনের হেফাজতে (রিমান্ড) নিয়েছে পুলিশ। ওই দিন মুহিতের স্ত্রী লিপি বেগম ও আত্মীয় ইসমাইল হোসেন আবলুসকে পৃথক স্থান থেকে আটক করে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় পরে লিপিকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এ ঘটনার পর আরেক আসামি কামরুল ইসলাম পালিয়ে সৌদি আরব চলে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। সেখানে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহায়তায় সোমবার তাঁকে আটক করা হয়। এ ছাড়া রাজন হত্যাকাণ্ডে উৎসাহ দেওয়ার অভিযোগে দুই প্রত্যক্ষদর্শী আজমত উল্লাহ ও ফিরোজ আলীকে গতকাল মঙ্গলবার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।