অটোরিকশা মালিকের প্রশ্ন, ‘খামু কী?’
‘হঠাৎ অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হইছে। করমু কী ? খামু কী? এই চিন্তাই করছি।’
মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা বন্ধের প্রতিবাদ জানিয়ে এমন প্রতিক্রিয়াই ব্যক্ত করলেন গজারিয়া অটোরিকশা মালিক সমিতির সভাপতি আল-আমীন মাস্টার। তাঁর মতো প্রতিবাদ জানিয়েছেন কুমিল্লার দাউদকান্দি, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার অটোরিকশার অনেক মালিক ও চালক। তাঁরা স্লোগান দিয়ে কিংবা রাস্তায় শুয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
urgentPhoto
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বালুকান্দি বাসস্ট্যান্ডের কাছে আনোয়ারা সিমেন্ট ফ্যাক্টরি গেটে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ শুরু করে অটোরিকশার মালিক-শ্রমিকরা। এতে মহাসড়কের দুই পাশে প্রায় সাত কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট দেখা দেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গজারিয়ার ভবের চরের হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ মো. সাইফুল ইসলাম জানান, অটোরিকশা বন্ধের প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে মালিক-শ্রমিকরা। অবরোধকারীদের সাথে কথা হচ্ছে। দ্রুত অবরোধ উঠে যাবে।
গত ২২ জুলাই মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ। ওই দিন দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
নারায়ণগঞ্জে সড়ক অবরোধ
এদিকে মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা বন্ধের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জেও সড়ক অবরোধ করেছে মালিক-শ্রমিকরা। তাঁরা ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন জানান, বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিকভাবে আগে থেকেই সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বসা বা আলোচনা করার দরকার ছিল। তিনি বলেন, পুলিশের কাজ কোনো ঘটনা যাতে না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখা। আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখা।