অপহরণের ছয়দিন পর শিশুর লাশ উদ্ধার
 
অপহৃত হওয়ার ছয়দিন পর শেরপুরের মধুটিলা ইকোপার্কের গহিন জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে শিশু আরাফাত ইসলাম রাহাতের মাথার খুলিসহ দেহের বিভিন্ন অংশ।
আজ শনিবার দুপুরে শেরপুর সদর থানা পুলিশ ও পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি যৌথ দল লাশটি উদ্ধার করে। পরিধেয় প্যান্ট ও শার্ট দেখে লাশটি রাহাতের বলে শনাক্ত করা হয়।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রাহাতের খালু আবদুল লতিফসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এদিকে অপহরণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার আসলাম জানান, অপহরণের দুই ঘণ্টা পরেই মধুটিলা ইকোপার্কে নিয়ে রাহাতকে হত্যা করা হয়। খালু লতিফের পরামর্শে রাহাতকে খুন করা হয়।
গত ২ আগস্ট রোববার বেলা ১১টার দিকে শেরপুরের পুরাতন গরুহাটি এলাকার কাঠ ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলামের একমাত্র ছেলে বিপ্লব লোপা মেমোরিয়াল স্কুলের প্রথম শ্রেণীর ছাত্র আরাফাত ইসলাম রাহাত অপহৃত হয়। অপহরণের পর রোববার সন্ধ্যায় মুক্তিপণের টাকা দাবি করা হয় রাহাতের বাবার কাছে। এ সময় রাহাতের বাবা শহিদুল বিষয়টি পুলিশকে জানালে ৩ আগস্ট সোমবার দুপুরে মুক্তিপণের টাকা নেওয়ার সময় রবিন নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া রবিন জানান, রাহাতের আপন খালু আবদুল লতিফ এই অপহরণের পরিকল্পনা করেন। পুলিশ ৪ আগস্ট লতিফকে পার্শ্ববর্তী জেলা জামালপুরের ফুলকার চর থেকে গ্রেপ্তার করে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে শেরপুরের মুন্সীর চর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আসলামকে। আসলামের দেওয়া তথ্যমতে, আজ শনিবার দুপুরে উদ্ধার করা হয় রাহাতের লাশ।
এ ব্যাপারে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল ওয়ারিশ বলেন, গহিন জঙ্গলে লাশটি ফেলে রাখার কারণে বিভিন্ন বন্য জন্তু লাশটি খেয়ে ফেলেছে। তাই দেহের কয়েকটি অংশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

 
                   কাকন রেজা, শেরপুর
                                                  কাকন রেজা, শেরপুর
               
 
 
 
