ফেলানী হত্যা : এবার সুপ্রিম কোর্টে মামলা
ফেলানী হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার চেয়ে এবার ভারতের সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন তাঁর বাবা নুরুল ইসলাম। আজ শুক্রবার এ মামলা দায়ের করা হয়। বাংলাদেশে বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) মাধ্যমে এবং ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চের (মাসুম) সহযোগিতায় এ মামলা দায়ের করা হয়।
ফেলানীর বাবা ন্যায়বিচারের আশায় গত ৮ জুলাই আসকের মাধ্যমে মাসুমের নির্বাহী পরিচালক কিরীট রায়ের কাছে এ ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করে একটি আবেদন করেন।
তারই পরিপেক্ষিতে আজ শুক্রবার ভারতের সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে বলে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন আসকের জ্যেষ্ঠ উপপরিচালক টিপ সুলতান।
ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম জানান, দুই দফা সাক্ষ্য দেওয়ার পরও মেয়ে হত্যার ন্যায্যবিচার পাননি। তিনি এ রায় প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাঁর মতে, অমিয় ঘোষের ফাঁসি হওয়া উচিত ছিল। তা না করে বিএসএফ বিচারের নামে তামাশা করেছে। তাই ভারত সরকারের কাছে সঠিক বিচার পাওয়ার আশায় সুপ্রিম কোর্টে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্রাহাম লিংকন প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টে এবার ফেলানীর বাবা ন্যায়বিচার পাবেন বলে আশা করছি।’ এর আগের দুটি রায়ের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘এই রায় ভারতীয় বিচারব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এর ফলে সীমান্ত হত্যার ক্ষেত্রে বিএসএফ আরো বেপরোয়া হয়ে উঠবে। যা সীমান্ত ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সংকট তৈরি করবে। এই রায় মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।’
আবেদনপত্রে ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম বলেন, ‘২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি আমার কন্যা ফেলানী খাতুনকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার নম্বর ৯৪৭-এর কাছে বিএসএফ সদস্যরা গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনার পর বিএসএফের আদালতে বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ গঠন করা হয়। ঘটনার দুই বছর আট মাস পর ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অমিয় ঘোষকে নির্দোষ রায় দেন আদালত। সেই রায় যথার্থ মনে করেননি বিএসএফের মহাপরিচালক। তিনি রায় পুনর্বিবেচনার আদেশ দিয়েছিলেন। এরপর ২০১৫ সালের ২ জুলাই বিএসএফ আদালত অমিয় ঘোষকে নির্দোষ বলে পুনরায় রায় দেন।