ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছি না

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়া এবং বিশ্বের বাজারে ওষুধের উপাদানের মূল্য বৃদ্ধিতে আমরাও এখন বিপদে রয়েছি। আমরা কিছু কিছু ক্ষেত্রে চেষ্টা করে যাচ্ছি, ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে। কিন্তু পারছি না।
আজ শনিবার দুপুরে মানসম্পন্নভাবে ওষুধ বিক্রি এবং সঠিকভাবে সেবা প্রদানের লক্ষে মৌলভীবাজারে ১০টি ফার্মেসিকে মডেল মেডিসিন শপ ও তিনটিকে মডেল ফার্মেসিতে রূপান্তরকরণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে ডিজি এসব কথাগুলো বলেন।
প্রথমেই ডিজি শহরের শ্রীমঙ্গল সড়কে মেসার্স হাসান ফার্মেসিকে মডেল মেডিসিন শপ হিসেবে উদ্বোধন করেন। পরে তিনি শহরের বিভিন্ন সড়কে অবস্থিত ১২টি মেডিসিন শপ ও মডেল ফার্মেসি উদ্বোধন ও পরিদর্শন করেন।
মেজর জেনারেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মানবদেহের হার্টের রিং, ভাল্ব ও পেসমেকার এই ডিভাইসগুলোর মূল্য নির্ধারণ করাতে বাজারে এখন দাম ৬০ শতাংশ কমে পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, এ নিয়ে এতদিন মানুষের মধ্যে স্বচ্ছতা ছিল না, অস্থিরতা ছিল। এখন এ ডিভাইসগুলোর মূল্য নির্ধারণে মানুষ জানতে পারছে কত দামে সেটি বিক্রি হচ্ছে। বাজারে মানবদেহের মানসম্মত ডিভাইস যাতে পাওয়া যায়-সেই জন্য বাধ্যতামূলকভাবে চারটি নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলার ড্রাগ সুপার ফখরুল ইসলাম, মৌলভীবাজারের ড্রাগ সুপার বাদল সরকার, মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সহসভাপতি আবদুল হামিদ মাহবুব, সাধারণ সম্পাদক এস এম উমেদ আলী, বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের মৌলভীবাজার জেলা শাখার সভাপতি এমদাদুল হক মছনু, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আব্দুর রউফ মানিকসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
মান সম্পন্নভাবে ওষুধ বিক্রি এবং সঠিকভাবে সেবা প্রদানের লক্ষে মডেল মেডিসিন শপ বা মডেল ফার্মেসিতে রূপান্তরিত করা হয়েছে। মডেল মেডিসিন শপ বা মডেল ফার্মেসিতে ফার্মাসিস্টদের বাধ্যতামূলকভাবে অ্যাপ্রন পরতে হবে। ফার্মাসিস্টরা রোগীকে কাউন্সিলিং করবেন। অ্যান্টিবায়োটিক মেডিসিন বিক্রি করতে হলে রেজিস্টার খাতায় লিপিবদ্ধ করতে হবে। রেজিস্টারে ওষুধ দেওয়ার তারিখ, চিকিৎসকের নাম ও হাসপাতালের নাম, ডোজ, কয়টি লেখা আছে, কয়টি নেওয়া হয়েছে তা সংরক্ষণ করতে হবে।
মডেল মেডিসিন শপে উন্নীত হয়েছে মেসার্স হাসান ফার্মেসি, মেসার্স লর্ড ড্রাগ সেন্টার, নাহিদ ফার্মেসি, এম বি ফার্মেসি, শেফা ফার্মেসি, আইডিয়াল ফার্মেসি, ইসলাম ফার্মেসি, রাহিমা ড্রাগ হাউস, ইসলামিয়া ড্রাগ সেন্টার ও সুমন মেডিকেল হল।
মডেল ফার্মেসিতে রূপান্তরিত তিনটি ফার্মেসি হচ্ছে সুপার ড্রাগ, কে কে মেডিসিন সেন্টার ও নিরাময় ঔষধালয়।