গণধর্ষণের অভিযোগে নোয়াখালী ও কুমিল্লা থেকে তিনজন গ্রেপ্তার

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে এক নারীকে মারধর ও গণধর্ষণের অভিযোগে নোয়াখালী থেকে দুজন ও কুমিল্লা থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার ও আজ বুধবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
সুবর্ণচরের চর জব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন জানান, সুবর্ণচরে গণধর্ষণের মামলায় গতকাল বাসু ওরফে কুড়াইল্যা বাসুকে এবং আজ বুধবার দুপুরে মো. স্বপনকে নোয়াখালী থেকে, মো. সোহেলকে আজ কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওসি জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা সেই মামলার আসামিরা হলেন- মো. সোহেল (৩৫), হানিফ (৩০), স্বপন (৩৫), চৌধুরী (২৫), বেচু (২৫), বাসু ওরফে কুড়াইল্যা বাসু (৪০), আবুল (৪০), মোশাররফ (৩৫) ও সালাউদ্দিন (৩৫)। এরা সবাই সুবর্ণচরের মধ্যবাইগ্গা গ্রামের বাসিন্দা। মামলা করার পর এ পর্যন্ত তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বরুড়া থানার ওসি আজিমুল হোসেন এনটিভির কুমিল্লা প্রতিনিধি মো. জালাল উদ্দিনকে জানান, জানান, বরুড়া থেকে নোয়াখালীর গণধর্ষণ মামলার আসামি সোহেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার বিকেল ৪টায় নোয়াখালীর জেলা পুলিশের একটি দল আসামি সোহেলকে গ্রেপ্তার করে নোয়াখালীতে নিয়ে যায়।
নির্যাতনের শিকার নারীর স্বামী ও মামলার বাদী সিরাজুল ইসলাম জানান, গত রোববার ৩০ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ শেষে সরকারি দলের সমর্থক মোশারফ, সালাউদ্দিন ও সোহেলসহ ১০-১২ জন তাঁর বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এ সময় আসামিরা তাঁকে ও তাঁর মেয়েসহ বাড়ির অন্যদের পিটিয়ে আহত করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাখে। পরে তারা তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণ করে এবং পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। পরের দিন সকালে এলাকাবাসী এসে তাদের উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি নেন। সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই নারী।
এদিকে সুবর্ণচরে নারীকে গণধর্ষণের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা অবশ্যই নিন্দনীয় এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এ ঘটনা তদ্ন্ত করছি। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থা এ ঘটনাটিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত কেউ পার পাবে না।’