নোয়াখালীতে এবার ‘অস্ত্রের মুখে’ গৃহবধূকে গণধর্ষণ

এবার নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নে এক নারীকে ছেলেমেয়ের সামনে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
গত শুক্রবার গভীর রাতে এ ঘটনার পর গতকাল শনিবার সকালে তিনজনকে আসামি করে কবিরহাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী। পরে পুলিশ তাঁকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা হাছান বলেছেন, ‘এলাকাবাসীর সহযোগিতায় এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জহির হোসেন নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে।’
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. ফজলে রাব্বানী জানান, ভুক্তভোগী ওই নারীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাঁকে পরবর্তী চিকিৎসা দেওয়া হবে।
মামলায় ওই ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করেন, ‘গত শুক্রবার গভীর রাতে সাত দুর্বৃত্ত ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে আমার ছেলেমেয়েকে জিম্মি করে ফেলে। দুর্বৃত্তরা ঘরের আসবাবসহ সবকিছু লুট করে নেয়। এ সময় ঘরে প্রবেশকারীদের তিনজন আমার ওপর নির্যাতন চালায়।’
‘কয়েক দিন আগে আমার স্বামী আবুল হোসেনকে পুলিশ রাজনৈতিক দুই মামলায় ধরে নিয়ে যায় এবং বর্তমানে তিনি জেলহাজতে রয়েছেন। ধর্ষকরা আমার স্বামীকে জেল থেকে ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ৫০ হাজার টাকাও দাবি করে,’ মামলায় বলেন পারভীন। তিনি আরো বলেন, এ সময় তারা ‘আমরা পুলিশের লোক’ বলে ভয় দেখাতে থাকে।
শনিবার সকালে ঘটনাটি বাড়ির লোকজন টের পেয়ে প্রথমে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে জানায় এবং পরে পুলিশকে খবর দেয় তারা। সকালে ভুক্তভোগী নারী থানায় গিয়ে বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
ওই নারী আরো দাবি করেন, গ্রেপ্তারকৃত জহির হোসেন জাকিরসহ অন্যরা সবাই স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।