ময়মনসিংহে ১৩ জনকে যাবজ্জীবন সাজা
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/02/25/photo-1424885623.jpg)
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় একই পরিবারের পাঁচজনকে খুনের ঘটনায় ১৩ জনকে যাবজ্জীবন ও দুজনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার দুপুরে আসামিদের উপস্থিতিতে বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আমীর উদ্দিন এই রায় দেন। দীর্ঘ ১৯ বছর পর এই হত্যা মামলার রায় ঘোষিত হলো। মামলায় ১০৭ জন আসামির মধ্যে ১৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়ে বাকিদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন হালুয়াঘাট উপজেলা সদরের গরুহাটা গোপীনগর এলাকার হোসেন আলীর ছেলে হক মিয়া, আকবর আলীর ছেলে সিরাজুল, মানিক ও আজিজুল, উমেদ আলীর ছেলে আব্দুস সাত্তার, বারেক, নুর মোহাম্মদ ও কাসেম, আব্দুল হেকিম মুন্সীর ছেলে ফজলুল করিম, আবু তাহের ও আবুল খায়ের, সোবহানের ছেলে গফুর উদ্দিন এবং আব্দুল হেকিমের ছেলে রমজান। ১০ বছর সাজাপ্রাপ্তরা হলেন জসিম উদ্দিন ও আব্দুর রাজ্জাক।
মামলার রায়ে জানা যায়, ১৯৯৭ সালে গরুর ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে হালুয়াঘাট উপজেলা সদরের গরুহাটা গোপীনগর এলাকায় জালাল উদ্দিনের সাথে হোসেন আলী মণ্ডলের বাকবিতণ্ডা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ঝগড়াঝাঁটি চার দফা গ্রাম্য সালিস পর্যন্ত গড়ায়।
সুরাহা না হওয়ায় একই বছরের ৯ মে হোসেন আলী মণ্ডলের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শতাধিক এলাকাবাসী জালাল উদ্দিনের বাড়ির পাঁচটি ঘরে ভাঙচুর চালায় এবং আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এ সময় জালাল উদ্দিনের বড় ভাই নুরুল ইসলাম (৬০), ছোট ভাই আব্দুর রশিদ (৪৫), চাচাতো ভাই আব্দুল মোতালেব (৪২), ভাতিজা সাজাহান (২৬) ও একমাত্র ছেলে আলমগীরকে (১৮) রামদা, বল্লম, কিরিচ ও ছুরি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় প্রাণে রক্ষা পাওয়া জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে পরদিন হালুয়াঘাট থানায় ১০৭ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে বিভিন্ন সময় পুলিশ হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা হোসেন আলী মণ্ডলসহ ১০০ জনকে আটক করে কারাগারে পাঠায়।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সঞ্জীব কুমার সরকার সঞ্জু এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এ এফ এম নজমূল হুদা এবং এ এইচ এম খালেকুজ্জামান।