নাইক্ষ্যংছড়িতে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যৌথ বাহিনীর গোলাগুলি, একজন নিহত
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় অস্ত্রধারী চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যৌথ বাহিনীর গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় জ্ঞান শংকর চাকমা নামের একজন নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
যৌথ বাহিনী ও স্থানীয়রা জানায়, নাইক্ষ্যংছড়ির দোছড়ি ইউনিয়নের মিয়ানমার সীমান্তবর্তী তুলাতলী ডলুঝিড়ি রাস্তারমুখ এলাকায় অস্ত্রধারী চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের অবস্থানের খবর পেয়ে র্যাব-সেনাবাহিনীসহ যৌথ বাহিনীর একটি দল অভিযান চালায়। এ সময় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যৌথ বাহিনীর গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। যৌথ বাহিনীর অভিযানের মুখে টিকতে না পেরে সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়তে ছুড়তে পাহাড়ের গহিন জঙ্গলে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে জ্ঞান শংকর চাকমা নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে সাতটি এসএমজি, অস্ত্রের ৪৩৭টি গুলি এবং ১১টি গুলির খালি খোসাসহ সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-৭-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে সন্ত্রাসী হামলায় অংশ নেওয়া সন্ত্রাসীরা পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকতর নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বেশ কিছু অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র কিনে ফের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করবে—নির্ভরযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনী সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে ফাঁদ পাতে। সন্ত্রাসীদের একটি দল নিরাপত্তা বাহিনীর টহলের তাড়া খেয়ে পালানোর সময় যৌথ বাহিনীর পাতানো ফাঁদে আটকা পড়লে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনাটি ঘটে।
র্যাব কর্মকর্তা মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ দাবি করেন, গোলাগুলিতে নিহত সন্ত্রাসী জ্ঞান শংকর চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রামের সক্রিয় একটি সশস্ত্র সংগঠনের দুধর্ষ সন্ত্রাসী এবং রাঙামাটি জেলার চিফ চাঁদা কালেক্টর। পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধে যৌথ বাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, যৌথ বাহিনীর অভিযানে নিহত সন্ত্রাসীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত সন্ত্রাসী বাঘাইছড়ি হামলায় জড়িত ছিল। যৌথ বাহিনীর অভিযোগ পেলেই আইনগতভাবে মামলা করা হবে।