বান্দরবানে ছেলেকে খুঁজে না পেয়ে বাবাকে গুলি করে হত্যা
পাহাড়ে আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে বান্দরবানে জনসংহতি সমিতির কর্মী ছেলেকে খুঁজে না পেয়ে বাবা জয়মনি তঞ্চঙ্গ্যাকে (৫২) গুলি করে হত্যা করেছে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বান্দরবান সদর উপজেলার কুহালং ইউনিয়নের বাকিছড়া মুখ এলাকায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের পাঁচ সদস্যের একটি গ্রুপ পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) কর্মী রিপন তঞ্চঙ্গ্যাকে খুঁজতে বাড়িতে যান। এ সময় তাঁকে না পেয়ে তাঁর বাবা জয়মনি তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
এ ঘটনায় বাকিছড়ামুখসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশসহ সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
জনসংহতি সমিতির বান্দরবান জেলা শাখার সভাপতি উছোমং মারমা বলেন, নিহত ব্যক্তি জনসংহতি সমিতির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত কেউ নন। তাঁর ছেলেও আমাদের কর্মী-সমর্থক নন। তবে আওয়ামী লীগ নেতা মংফু অপহরণ মামলায় জেএসএসের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিহতের ছেলে রিপন তঞ্চঙ্গ্যার নাম জড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ওই কারণে মামলায় হাজিরা দিতে জেএসএসের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল।
কুহালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সানু প্রু মারমা জানান, সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ছেলেকে খুঁজতে এসে না পেয়ে বাবাকে গুলি করে হত্যা করেছে। নিহত ব্যক্তি বাকিছড়ায় দোকানদারি করতেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছে সেনাবাহিনী, পুলিশ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা গুলি করে স্থানীয় একজন দোকানদারকে হত্যা করেছেন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে এসেছে। তবে এ ঘটনায় কারা জড়িত বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গত মঙ্গলবার রাতে আধিপাত্য বিস্তারের জের ধরে বান্দরবানের রাজবিলা ইউনিয়নের তাইংখালী বাজারে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের হামলায় পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন জেএসএসের সহযোগী সংগঠন যুব পরিষদের সদস্য বিনয় তঞ্চঙ্গ্যাকে (৩৫) গুলি করে হত্যা করা হয়। একই দিন রাতে রাবার বাগানের শৈলতনপাড়া থেকে পুরাধন তঞ্চঙ্গ্যা (৩২) যুব পরিষদের আরেক কর্মীকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের দুই দিন পরও তার খোঁজ পাওয়া যায়নি।