সরিষাবাড়িতে বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর, পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন
পৌরসভা নির্বাচনের প্রচারকে কেন্দ্র করে জামালপুরের সরিষাবাড়িতে বিএনপির কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সরিষাবাড়ি পৌরসভা নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে জেলা বিএনপি।
আজ রোববার দুপুরে সরিষাবাড়ি উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম ও বিএনপি মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী ফয়জুল কবির তালুকদার এ দাবি জানান।
বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী ফয়জুল কবির তালুকদার অভিযোগ করেন, ‘গতকাল শনিবার রাতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থীর প্রচার মিছিল থেকে হামলা চালিয়ে উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং মোটরসাইকেল ও অন্যান্য যানবাহন ভাঙচুর করা হয়।
পাশাপাশি আরামনগর বাজার এলাকায় অনেক দোকানপাটে হামলা ও লুটপাট চালানো হয় বলেও অভিযোগ করেন ফয়জুল কবির তালুকদার।
জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম বলেন, ‘এ ছাড়া বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর প্রচারে বাধা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, পোস্টার ছিড়ে ফেলা হচ্ছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সরিষাবাড়ি পৌরসভায় আমরা সেনা মোতায়েনের দাবি জানাচ্ছি।’
এদিকে সরিষাবাড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘটনার জন্য বিএনপিকেই দায়ী করেছে। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশা, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, সাবেক সংসদ সদস্য ডা. মুরাদ হাসান ও দলীয় মেয়র পদপ্রার্থী রোকনুজ্জামান রুকন বক্তব্য দেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশা দাবি করেন, আওয়ামী লীগের প্রচার মিছিলে বিএনপির সন্ত্রাসীরা হামলা চালালে মেয়র পদপ্রার্থী রোকনুজ্জামান রুকনসহ ১০ নেতা-কর্মী আহত হন। বিএনপি সমর্থকরা নিজেরাই নিজেদের কার্যালয় ভেঙে আওয়ামী লীগের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে।
নৌকার পক্ষে জোয়ার দেখে বিএনপি সন্ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগ নেতারা।