পুলিশ সদস্যদের বেঁধে বাজারে ডাকাতি
শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট বাজারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতদের ছোড়া গুলিতে একজন গুলিবিদ্ধসহ দুজন আহত হয়েছে।
এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। বাজারে পুলিশের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।
গোসাইরহাট থানা পুলিশ ও ব্যবসায়ীরা জানায়, সোমবার রাতে গোসাইরহাট বাজারে চারজন পুলিশ সদস্য টহলে ছিলেন। আনুমানিক ২টার দিকে ১০০ থেকে ১৫০ জনের একটি ডাকাতদল বিভিন্ন ধরনের আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গোসাইরহাট বাজারে ঢুকে। বাজারে টহলরত চারজন পুলিশের দুজনকে হাত-পা বেঁধে রাখে। অন্য দুই পুলিশ পালিয়ে যায়।
পরে ডাকাতরা গোসাইরহাট বাজারের নিউ আর কে গিনি হাউজ, জনক অলংকার ভবন, নিউ শিলা হাউজ ও দীলিপ স্বর্ণ হাউজ, একটি মুদি দোকান ও একটি মোবাইল ফোনের দোকানের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দোকানের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতদের বাধা দিতে গেলে সুকমল কর্মকার (৩০) নামের একজনকে গুলি করে ডাকাতরা। সুকমলের পিঠের ডান দিকে একটি গুলি লাগে। কৃষ্ণদাস নামের আরেক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে আহত করে ডাকাতরা।
আহতরা গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
গোসাইরহাট বাজারের ব্যবসায়ী সুধাংসু কর্মকার বলেন, ডাকাতরা চারটি স্বর্ণের দোকান, একটি মুদি দোকান ও একটি মোবাইল ফোনের দোকানে ডাকতি করে টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ প্রায় এক কোটি টাকা মূল্যের মালামাল নিয়ে গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে থানায় সংবাদ পাঠালেও পুলিশ বাজারে আসেনি বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘ডাকাতির ঘটনা সত্য। আমাদের দুজন পুলিশ সদস্যকে বেঁধে ডাকাতরা বাজারে ডাকাতি করে। খবর পেয়ে আমরা বাজারে গিয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করি। থানা থেকে পুলিশ যাওয়ার আগেই ডাকাতরা পালিয়ে যায়। ডাকাতের ছোড়া শটগানের গুলিতে একজন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাজারের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।