মন্ত্রিসভায় হাজি সেলিমকে নিয়ে আলোচনা
মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আজ ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে অনির্ধারিত আলোচনা হয়েছে। সিনিয়র মন্ত্রীদের কেউ কেউ এই নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুললে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন হোক, দেশের মানুষ নির্বাচন চায়। নির্বাচন হলেই প্রমাণিত হবে, মানুষ হরতাল চায়, নাকি নির্বাচন চায়? তিনি আশা করেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে এবং সবাই এতে অংশগ্রহণ করবে।
বৈঠক শেষে কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে এ কথা জানা গেছে। তবে মন্ত্রীরা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।
বৈঠকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রার্থী নিয়ে মন্ত্রীরা তাঁদের মতামত দেন। বেশ কয়েকজন মন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন আমরা হাতছাড়া করতে চাই না। এখানে প্রার্থী হিসেবে হাজি সেলিমই যোগ্য, তাঁকে মনোনয়ন দিলে এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়লাভ করার সম্ভাবনা বেশি।’ তা ছাড়া হাজি সেলিম লোক হিসেবেও মন্দ নয় বলে মত দেন তাঁরা।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রার্থী নিয়ে আলোচনা করলেও আনিসুল হকের ব্যাপারে মন্ত্রীরা কেউ দ্বিমত প্রকাশ করেননি।
এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে যে প্রেস ব্রিফিং করেছেন, সে বিষয়েও কথা উঠেছে মন্ত্রিসভার অনির্ধারিত আলোচনায়।
এর আগে গতকাল রোববার রাতে হাজি সেলিমের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাসায় যান ঢাকা সিটি করপোরেশন দক্ষিণের সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী সাঈদ খোকন। তবে তাঁকে বাসায় না পেয়ে আধঘণ্টা অপেক্ষা করে ফিরে যান খোকন।
এ সময় খোকন জানান, হাজি সেলিমের কাছে দোয়া চাইতে এসেছিলেন তিনি। এ ছাড়া আসছে নির্বাচনে হাজি সেলিম তাঁকে সমর্থন দেবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন সাঈদ খোকন।
পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাংলামোটর এলাকায় হাজি সেলিম সাংবাদিকদের জানান, ওই সময় তিনি বাসার বাইরে ব্যস্ত ছিলেন। তবে মেয়র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তিনি নিজেই সমর্থন পাবেন বলে আশাবাদ জানান হাজি সেলিম।