টাঙ্গাইলে বাসে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে যাত্রীবাহী বাসে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ১১টার দিকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন—বাসের চালক হাবিবুর রহমান নয়ন, সুপারভাইজার রেজাউল করিম জুয়েল ও হেলপার আবদুল খালেক ভুট্টু। বাসটিও আটক করা হয়েছে।
এদিকে গণধর্ষণের ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে মামলা করেছেন। গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ১২টার দিকে ধনবাড়ী থানায় মামলাটি করা হয়। মামলায় নয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
ধর্ষণের শিকার নারীর স্বামী জানান, গত বৃহস্পতিবার গাজীপুর থেকে খালার বাড়ি টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী দত্তপাড়ায় বেড়াতে যান তাঁর স্ত্রী। পরের দিন শুক্রবার সকালে গাজীপুরের উদ্দেশে যাওয়ার জন্য ধনবাড়ী বাসস্ট্যান্ড থেকে টিকিট কেটে বিনিময় পরিবহনের একটি বাসে উঠেন। এ সময় বাসটির চালক ও চার স্টাফ তাঁকে একাই নিয়ে রওনা হয়। পরে বাসটি গন্তব্যে না গিয়ে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের দিকে যেতে থাকে। ওই সময় গৃহবধূ জিজ্ঞেস করলে বাসের স্টাফরা তাঁকে মারধর ও সব জানালা-গেট বন্ধ করে দিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে।
ওই গৃহবধূর স্বামী আরো জানান, চালকসহ তিনজন তাঁর স্ত্রীকে গণধর্ষণ করে করে বাস থেকে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। খবর পেয়ে তিনি স্ত্রীকে উদ্ধার করেন। দুপুরে এ ঘটনার বিচার চেয়ে তিনি ধনবাড়ী শ্রমিক সংগঠনের কার্যালয়ে যান। সেখানে ধর্ষণকারী তিনজনই উপস্থিত ছিল। এ ঘটনার মীমাংসা করতে ৬ এপ্রিল দিন ঠিক করেন শ্রমিক নেতারা। পরে তিনি স্ত্রীকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক রেহানা পারভীন বলেন, ওই নারী বিবাহিত ও সন্তান থাকায় স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ধর্ষণের বিষয়টি বোঝা যাচ্ছে না। তবে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার (এসপি) সালেহ মোহাম্মদ তানভীর জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
ধনবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় নয়জনকে আসামি করে রাতে মামলা হয়েছে। আমরা তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছি। বাসটিও আটক করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’