কালুরঘাট সেতু থেকে লাফ, আহত ‘ডাকাতের’ মৃত্যু
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী কালুরঘাট সেতু দিয়ে লাফ দিয়ে ‘ডাকাত’দলের ছয় সদস্য আহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন আজ মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন।
এর আগে আজ মঙ্গলবার ভোর রাতে কালুরঘাট সেতু থেকে আন্তজেলা ডাকাতদলের সাত সদস্যকে ছয়টি দেশীয় অস্ত্র, গোলাবারুদ, ডাকাতির সরঞ্জাম ও ডাকাতি করা মালামালসহ গ্রেপ্তার করে নগরের চান্দগাঁও থানা পুলিশ।
নিহত ব্যক্তির নাম মো. জসিম। আহত অন্য ব্যক্তিরা হলেন আবুল কালাম, মো. জহির, মো. মিরাজ, সামসুর রহমান ও মো. আজহার। তাঁরাসহ মো. তৈয়ব নামের এক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
চান্দগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম মোহাম্মদ নাসিম হোসেন অনলাইনকে জানান, কয়েকজন ব্যক্তি রাউজান এলাকায় একটি দোকানে ডাকাতি করে নগরে ঢুকছে এমন তথ্যে চান্দগাঁও থানা পুলিশ একটি পিকআপ তাড়া করে। প্রায় এক ঘণ্টা তাড়া শেষে কালুরঘাট সেতুর মাঝামাঝি এলাকায় ডাকাতবাহী গাড়ি থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এতে আহত হন চান্দগাঁও থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আতাউদ্দিন। পুলিশও ডাকাতদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় সেতু থেকে লাফিয়ে পড়ে পালানোর চেষ্টা করেন ডাকাতদলের সদস্যরা। প্রায় ১০০ ফুট ওপর থেকে লাফিয়ে পড়ায় ছয়জন আহত হয়। এ সময় সেতু থেকে একজন ও সেতুর নিচে থেকে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে গুরুতর আহত জসিমকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ডাকাতদের কাছ থেকে দেশীয় তিনটি একনলা বন্দুক, দুটি এলজি, একটি কাটা রাইফেল, আটটি গুলি, ডাকাতির সরঞ্জাম, টাকাসহ ডাকাতি করা মালামাল জব্দ করা হয়।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইরুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার হওয়া ডাকাতরা আন্তজেলা ডাকাতদলের সক্রিয় সদস্য। তাঁদের বিরুদ্ধে নগরী ও জেলার বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা আছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ডাকাতির মামলা প্রক্রিয়াধীন।