নাইক্ষ্যংছড়ির বরখাস্ত উপজেলা চেয়ারম্যানের রিমান্ড শুনানি কাল
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের বরখাস্ত চেয়ারম্যান তোফাইল আহমদ এবং পার্বত্য গণপরিষদের সভাপতি আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসদমন আইনের মামলা করা হয়েছে।
আজ সোমবার ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশ দুজনকে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তাহমিনা আফরোজের আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আদালত কাল মঙ্গলবার রিমান্ডের শুনানির দিন রেখেছেন। পরে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশের দাবি, রোববার জেলা শহরের কাসেমপাড়ায় জামায়াতনেতা আতিকুর রহমানের বসতবাড়িতে কয়েকজন নাশকতার পরিকল্পনার জন্য বৈঠকে বসেছিলেন। খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালিয়ে বরখাস্তকৃত উপজেলা চেয়ারম্যান তোফাইল আহমদ এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙালিদের অধিকার আদায়ের সংগঠন পার্বত্য গণপরিষদের সভাপতি আতিকুর রহমানকে আটক করা হয়। তখন পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আরো ১২-১৫ জন পালিয়ে যায়।
বৈঠকের স্থান থেকে দুটি ধারালো দা, তিনটি স্ক্রু ড্রাইভার, একটি প্লাস, দুটি কার্টারসহ কিছু ইলেকট্রিক সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় সদর থানায় গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপপরিদর্শক শেখ লিয়াকত আলী বাদী হয়ে সন্ত্রাস দমন আইনে একটি মামলা করেছেন। মামলায় অন্য আসামিরা হলেন জাকের আহমদ (৩৯), আমিরুল কবীর (২৮), এহসানুল কবির রাজিব (৩০) ও সাইফুদ্দিন বাহাদুর (৩৫)।
মামলার বাদী ডিবি পুলিশের এসআই শেখ লিয়াকত আলী বলেন, নাশকতার পরিকল্পনার জন্য গোপন বৈঠকের খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে সরঞ্জামসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরো ১২-১৫ জন পালিয়ে যায়।
তবে গ্রেপ্তারকৃত তোফাইল আহমদ ও আতিকুর রহমান জানান, উদ্ধার হওয়া ইলেকট্রিক সরঞ্জামগুলোর সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ভিন্ন স্থান থেকে কোনো ধরনের অভিযোগ ছাড়াই তাঁদের আটক করে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সঞ্জিব কুমার রায় জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামে পুলিশ এবং সংখ্যালঘুদের ওপর বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনার তথ্য-প্রমাণ রয়েছে পুলিশের কাছে। রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী নাশকতার পরিকল্পনাকারীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তার দুজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে।