গুলশান হামলার অর্থ জোগানদাতা রোকন, তানভীর, জাহিদ
সিরিয়ায় পালিয়ে যাওয়া জঙ্গি ডা. রোকনুজ্জামান, আজিমপুরে নিহত তানভীর কাদরী ও মিরপুরে নিহত চাকরিচ্যুত মেজর জাহিদ গুলশান হামলায় অর্থের জোগান দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম (সিটি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে ‘জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের’ (জেএমবি) সাত সদস্যকে আটকের পর সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন মনিরুল।
গত পয়লা জুলাই রাত পৌনে ৯টার দিকে গুলশানে স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় বন্দুকধারীরা। হামলার পর রাতেই তারা ২০ জনকে হত্যা করে।
ওই দিন রাতে উদ্ধার অভিযানের সময় বন্দুকধারীদের বোমার আঘাতে নিহত হন পুলিশের দুই কর্মকর্তা। পরদিন সকালে যৌথ বাহিনীর অভিযানে নিহত হয় পাঁচ হামলাকারী। এ হামলার পর মোট ২৯ জন নিহত হয়।
জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) এ হামলার দায় স্বীকার করে। সংগঠনটির মুখপাত্র আমাক হামলাকারীদের ছবি প্রকাশ করে বলে জানায় জঙ্গি তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সাইট ইন্টেলিজেন্স।
আটক জঙ্গিদের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে সংবাদ সম্মেলনে গুলশান হামলার প্রসঙ্গ টানেন মনিরুল। আটক সাতজনের বিষয়ে তিনি বলেন, আটক সাত জঙ্গি সাংগঠনিক অর্থের জোগান দিতেই ডাকাতির মতো কাজে লিপ্ত হয়েছিল। তাদের কাছ থেকে ডাকাতির সময় লুণ্ঠন করা ৬৭ ভরি স্বর্ণ, চারটি পিস্তল, পাঁচটি ম্যাগাজিন, ১০টি গুলি ও ছয় লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
মনিরুল ইসলাম আরো বলেন, ‘তারা (সাতজন) এই ডাকাতি করে মূলত অস্ত্র, বিস্ফোরক এবং তাদের যে সমস্ত নেতারা জেলখানায় রয়েছে তাদের মামলা চালানো এবং তাদেরকে ছাড়িয়ে আনার জন্য তদবির করছিল।’