এক মাসে জব্দ ২৮২ কোটি টাকার চোরাই পণ্য
চলতি বছর মে মাসে ২৮২ কোটি ৩৩ লাখ ৫৭ হাজার টাকার চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আজ শুক্রবার (২ মে) বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জব্দকৃত চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ২০ কেজি ৫৬৯ গ্রাম স্বর্ণ, ৮৮ কেজি ৬৯৪ গ্রাম রূপা, এক কোটি ৫১ লাখ ৬৪৫টি কসমেটিক্স সামগ্রী, দুই হাজার ৭৬৬টি ইমিটেশন গহনা, ২১ হাজার ৪৮১টি শাড়ি, এক হাজার ২৭৫টি থ্রিপিস, শার্টপিস, চাদর ও কম্বল, তিন হাজার ৯১১টি তৈরি পোশাক, এক হাজার ৯২৪ ঘনফুট কাঠ, ছয় হাজার ৬৬ কেজি চা পাতা, এক লাখ ১৬ হাজার ৪৩০ কেজি কয়লা, দুই হাজার ২৫৯ কেজি কারেন্ট ও সুতার জাল, এক লাখ ৬৫ হাজার ৮৯৩ ঘনফুট পাথর, ১০টি ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান, ১১টি পিকআপ, পাঁচটি প্রাইভেটকার, ২৫টি সিএনজি ও ইজিবাইক এবং ১১৬টি মোটরসাইকেল।
উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে আটটি পিস্তল, আটটি ম্যাগাজিন, সাতটি সকল প্রকার গান, ১০০ কেজি সালফার, চারটি বিস্ফোরক স্টিক, সাতটি ডেটোনেটর এবং ৪০ রাউন্ড গুলি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত মাসে বিজিবি কর্তৃক বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যও জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ১৯ লাখ ৫৫ হাজার ২১০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ২৮ কেজি ৭১০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ২৭ কেজি ৮৬০ গ্রাম হেরোইন, ২২ হাজার ৬১৪ বোতল ফেনসিডিল, ২৩ হাজার ৬৮২ বোতল বিদেশি মদ, ৩ হাজার ২৭ ক্যান বিয়ার, দুই হাজার ৫৬৭ কেজি গাঁজা, ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬৩২ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ৩৯ হাজার ৫২০টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন, দুই হাজার ৪৪৭টি অ্যানেগ্রা ও সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ছয় হাজার ৬৬১টি ইস্কাফ সিরাপ, ৬৯৮ বোতল এমকেডিল ও কফিডিল, ১৭ লাখ ৭৬ হাজার ৯৪১ পিস বিভিন্ন প্রকার ঔষধ, দুই কেজি ৪৪৫ গ্রাম কোকেন এবং এক লাখ ৬০ হাজার ১৬৮টি অন্যান্য ট্যাবলেট।
সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ২২০ জন চোরাচালানিকে এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৩১ জন বাংলাদেশি নাগরিক, চারজন ভারতীয় নাগরিক এবং ২৮ জন মিয়ানমার নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।