চাইলেই দেশে ফিরতে পারবেন বিএনপিনেতা সালাহউদ্দিন
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে থাকা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ চাইলেই দেশে ফিরতে পারবেন। তার জন্য ভারতের গোহাটি বাংলাদেশ মিশনে ট্রাভেল পাস ইস্যু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৮ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
দীর্ঘ আট বছর ধরে ভারতের শিলংয়ে অবস্থান করছেন আসা সালাহউদ্দিন আহমেদ। ভারতের আদালত থেকে খালাস পেয়ে দেশে ফেরার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে ট্রাভেল পাসের আবেদন করেছিলেন তিনি। গত ৮ মে ভারতের আসাম রাজ্যের গুয়াহাটিতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনারের কাছে আবেদন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য। দীর্ঘ এক মাস পর তার এই আবেদনে সম্মতি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গত ১ মার্চ ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং জজ আদালতের আপিল বিভাগ সালাহউদ্দিন আহমেদকে বেকসুর খালান দেন।
২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর শিলংয়ের নিম্ন আদালতে তিনি খালাস পেয়েছিলেন। কিন্তু, রাজ্য সরকার আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। ১ মার্চ স্থানীয় আদালত ওই আপিল আবেদন খারিজ করে দেন। আদালতের রায়ে তাকে বেকসুর খালাস দিয়ে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করার আদেশ দেন। একইসঙ্গে তাকে দ্রুত দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দেন আদালত।
২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে নিখোঁজ হন সালাহউদ্দিন আহমদ। নিখোঁজের ৬৩ দিন পর ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তাকে উদ্ধারের পর সেখানকার একটি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করে। এর পরদিন তাকে শিলং সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একই বছরের ১১ মে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে সালাহউদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধে মামলা করে শিলংয়ের পুলিশ। প্রায় সাত বছর বিচার চলার পর এই মামলার রায় ঘোষণা হয়।
১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন। এরপর প্রশাসনের চাকরি ছেড়ে তিনি রাজনীতিতে আসেন। ২০০১ সালে তিনি কক্সবাজার থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বিএনপি ক্ষমতায় এলে তিনি যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হন। ভারতে আটকের সময় সালাহউদ্দিন আহমেদ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। ভারতে আটক অবস্থায় বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলে তিনি দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হন।