অস্ত্র নিয়ে হত্যার হুমকি, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
পাবনা সদর উপজেলার হিমায়েতপুরে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে হত্যার হুমকি, গ্রামবাসীকে মারধর, বাড়িঘর ও দোকান ভাঙচূর এবং লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে এক আওয়ামী লীগ নেতার সহযোগীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অস্ত্রধারীকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে গ্রামবাসী।
আজ রোববার (১১ জুন) দুপুরে হিমায়েতপুরের চরবাঙ্গাবাড়িয়ার পশ্চিমপাড়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করে গ্রামবাসী। এরপর কয়েকশ গ্রামবাসী তাদের নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভ করে।
সংবাদ সম্মেলনে গ্রামবাসী অভিযোগ করে, গত ৯ মে চরবাঙ্গাবাড়িয়ায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনিছ সরদার ও তাঁর বাহিনী নিজেদের মধ্যে গোলাগুলি করে কিছু লোককে আহত করে। পরে পূর্ব শত্রুতা ও প্রতিহিংসার জেরে স্থানীয় নিরীহ মানুষের নামে মিথ্যা মামলা করে। শুধু মামলা নয় আনিস সরদারের বাহিনীর অন্যতম ইছাক প্রামাণিক এক হাতে পিস্তল নিয়ে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেন এবং হত্যার হুমকি দেন। এলাকার দুটি মুদি দোকানে হামলা ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটে। বেশ কয়েকজনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
গ্রামবাসীর আরও অভিযোগ, আনিস ও অস্ত্রধারী ইছাক এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে গ্রামবাসীকে মাঠে ও বাজারে যেতে বাধা দিচ্ছেন। এমনকি শিক্ষার্থীদেরও স্কুলে যেতে দিচ্ছেন না। পথেঘাটে নারীদের উত্ত্যক্ত করছেন। এসব ঘটনায় গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। যেকোনো মুহূর্তে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাবুল হোসেন, কালু মৃধা, সুরুজ মণ্ডল, আবুল হোসেন, আব্দুল মান্নান মৃধা, আলিম মৃধা, রাণী খাতুন, আখি আক্তার, রোজিনা খাতুন, সালেহা খাতুন, মাসুরা খাতুন প্রমুখ।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁদের পাওয়া যায়নি।
পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী বলেন, অস্ত্র নিয়ে মহড়ার ভিডিও আমাদের কাছে আছে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে ডিবি পুলিশ কাজ শুরু করেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।