নির্বাচনে বিএনপির ভরসা ষড়যন্ত্র : হানিফ
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভরসার জায়গা দেশের জনগণ। আর বিএনপির ভরসা ষড়যন্ত্র। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এ কথা বলেছেন। আজ রোববার (১১ জুন) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক মিলনায়তনে প্রয়াত চিত্রনায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের শোক ও স্মরণসভায় তিনি এ কথা বলেন।
হানিফ বলেন, ‘নির্বাচনে বিএনপির ভরসা ষড়যন্ত্র ও বিদেশি প্রভুদের কাছে ধরনা। তারা ভাবছে, বিদেশি প্রভুরাই তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। আমি বিএনপিকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানাব। আপনাদের তথাকথিত আন্দোলন মানুষ বহু দেখেছে। এতে কোনো লাভ হবে না।’
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘২০১২ সালের পর খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপির আন্দোলন দেশের মানুষ দেখেছে। আন্দোলন করে কোনো কিছু করা যাবে না। সংবিধান অনুযায়ী, যথাসময়ে এই সরকারে অধীনে নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে। জনপ্রিয়তা যাচাই করতে হলে নির্বাচনে আসুন। বিদেশি প্রভুর কাছে ধরনা দিয়ে ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ নেই। কারণ, দেশের জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস।’
হানিফ বলেন, ‘আমরা দেখছি, দেশের কিছু তথাকিথত সুশীল ও বুদ্ধিজীবী নির্বাচন নিয়ে নানা পরামর্শ দিচ্ছেন। সংবিধানের বাইরে যাওয়ার জন্য অনেকে ইঙ্গিত করছেন। আরেকটি দল বিএনপি, তারা এই সরকারের অধীনে নির্বাচন নয়, এমন ধোঁয়া তুলে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। দেশকে আবার সেই ১-১১ দিকে নিয়ে যাওয়ার চক্রান্ত করছে তারা।’
মার্কিন ভিসা নীতি নিয়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় এই নেতা বলেন, ‘যারা নির্বাচনে অনিয়ম করবে তারা তাদের নিষেধাজ্ঞা দেবে। আমরা অনিয়ম, বানচাল বা প্রভাব বিস্তার করতে চাই না। মার্কিন ভিসা নীতিতে আমরা ভীত নয়।’
নির্বাচন নিয়ে বিএনপি-জামায়াত সাম্প্রতিককালে মাঠ গরমের চেষ্টা করছে জানিয়ে হানিফ বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত এক মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। বিএনপি পাকিস্তানের আইএসআইয়ের তৈরি, তা বহু ঘটনার মধ্য দিয়ে পরিষ্কার হয়েছে। একাত্তরে জামায়াত অগ্নি সন্ত্রাস, লুটপাটের কারণে নিষিদ্ধ হয়েছিল। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জামায়াতের বিকল্প হিসেবে পাকিস্তান বিএনপি গঠন করেছিল। এখন বিএনপি পাকিস্তানের এ-টিম আর জামায়াত বি-টিম।’