কুষ্টিয়ার গড়াই নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী তানভীরকে (২৩) এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। সোমবার (১২ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার মাস-উদ-রুমী সেতু সংলগ্ন রেল সেতুর নিচে পাঁচ বন্ধু নদীতে গোসল করতে নামলে নদীর প্রবল স্রোতে তিনজন তলিয়ে যান। কোন মতে ৪ জন নিরাপদে তীরে ভিড়লেও নিখোঁজ হন তানভীর।

কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. জানে আলম জানান, সোমবার তানভির নামের ঐ শিক্ষার্থী গড়াই নদীতে নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই প্রথমে কুষ্টিয়া ও কুমারখালী ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এবং সন্ধ্যায় খুলনা থেকে আসা ডুবুরি দলের ৫ সদস্যের একটি টিম তানভিরকে উদ্ধারে অভিযান চালায়। এরপর তাঁকে খুজে না পাওয়ায় রাত সাড়ে ১০টা দিকে অভিযান স্থগিত করা হয়। আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টার পর থেকে আবার তানভিরকে উদ্ধারে কাজ শুরু করেছে কুষ্টিয়া ও কুমারখালী ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটসহ খুলনা ডুবুরি দলের ৫ সদস্য। তবে গতকালের চেয়ে আজ নদীতে পানির স্রোত বেশি থাকায় উদ্ধার তৎপরতায় চরম বেগ পেতে হচ্ছে।

কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মন্ডল জানান, রাতেই নিখোঁজ তানভিরের বাবা ও বোন বরগুনা থেকে কুষ্টিয়ায় এসেছেন। তানভীরের সাথে বেড়াতে আসা তার ১২ জন বন্ধু এখনো কুষ্টিয়ায় অবস্থান করছে। নিখোঁজ তানভীরের বাড়ি বরগুনা জেলায়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফার্মেসি বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, সোমবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ শিক্ষার্থী মাইক্রোবাসযোগে মেহেরপুরের মুজিবনগরের উদ্দেশে যান। সেখান থেকে দুপুরে আসেন কুষ্টিয়া সার্কিট হাউসে। কিছুক্ষণ সেখানে বিশ্রাম নিয়ে ফকির লালন সাঁইয়ের মাজার ঘুরে রওনা হন শিলাইদহে কুঠিবাড়ির উদ্দেশে। পথিমধ্যে কুমারখালী উপজেলার মাস-উদ-রুমী সেতু সংলগ্ন গড়াই নদীতে গোসল করতে নামেন তারা। পাঁচ বন্ধু নদীতে নামলে নদীর প্রবল স্রোতে ৩ জন তলিয়ে যান। কোনমতে ৪ জন নিরাপদে তীরে ভিড়লেও নিখোঁজ হন তানভীর। কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।