আম রপ্তানিতে নতুন রেকর্ড, বেশি গেল যুক্তরাজ্যে
দেশে বছরে প্রায় ২৫ লাখ টন আম উৎপাদন হয়। কিন্তু, উৎপাদনের তুলনায় রপ্তানির পরিমাণ অনেক কম। তবে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেড়েছে আম রপ্তানি। শুধুমাত্র ২০২২-২৩ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত দুই হাজার ৭০০ টন আম রপ্তানি করা হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে এক হাজার টন বেশি।
আজ শুক্রবার (৪ আগস্ট) কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশ থেকে ২৮টি দেশে আম রপ্তানি করা হয়। এসব দেশে রপ্তানি করা হয়েছিল এক হাজার ৭৫৭ টন আম। তবে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে রপ্তানিযোগ্য দেশের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে রপ্তানির পরিমাণও। ৩৪টি দেশে আম রপ্তানি করা হয় দুই হাজার ৭০০ টন।
আম রপ্তানির তালিকায় প্রথমে রয়েছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে ইতোমধ্যে রপ্তানি করা হয়েছে এক হাজার ২৫৬ টন আম। ২৯৬ টন রপ্তানি করে তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইতালি। এ ছাড়া কুয়েতে ২১৮ টন, সৌদি আরবে ২৬০ টন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১৩৭ টন, কাতারে ১১১ টন, সিঙ্গাপুরে ৫৫ টন, সুইজারল্যান্ডে ১৪ টন, জার্মানিতে ৭০ টন, ফ্রান্সে ৮৫ টন, সুইডেনে ৬৫ টন ও কানাডায় ৪০ টন আম রপ্তানি করা হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশ থেকে মাত্র ২৩২ টন আম রপ্তানি করা হয়। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৩১০ টন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২৮৩ টন ও ২০২০-২১ অর্থবছরে এক হাজার ৬৩২ টন আম রপ্তানি করা হয়।
বিশ্ববাজারে দেশের আমের বিপুল চাহিদা থাকলেও উত্তম কৃষি চর্চাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে আম উৎপাদন ও প্যাকেজিং না হওয়ায় রপ্তানির পরিমাণ কম। রপ্তানি বৃদ্ধি করতে ইতোমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় ‘রপ্তানিযোগ্য আমের উৎপাদন বৃদ্ধি’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এ প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের উত্তম কৃষি চর্চা মেনে আম উৎপাদনসহ বিভিন্ন সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।