‘বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমান জড়িত নয় যারা বলে, তারা ছদ্মবেশী শকুন’
‘বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমান জড়িত নয়, এমন কথা যারা বলে তারা ছদ্মবেশী শকুন’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। সোমবার (১৪ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে সজীব ওয়াজেদ এ মন্তব্য করেন।
জয় বলেন, ‘রাষ্ট্রপ্রধান থাকা অবস্থায় ইনডেমনিটি আইন করা, দেশের বাইরে হওয়া কমিশনকে তদন্ত করতে দিতে না আসতে দেওয়া, খুনি রশীদকে জার্মানিতে, ডালিমকে স্পেনে, নূর চৌধুরীকে কানাডা ও রাশেদ চৌধুরীকে যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রদূত হিসেবে পুরস্কার দেওয়া–এরপরও কেউ যদি বলেন জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ও সুবিধাভোগী নয়; তাহলে বুঝতে হবে তারা ছদ্মবেশী শকুন।’
আজ (মঙ্গলবার) ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। স্বাধীনতার স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে দিনটি পালন করবে। দিনটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোর রাতে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্য ধানমণ্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত এবং তার ছেলে আরিফ ও সুকান্ত বাবু, মেয়ে বেবি, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় তাঁরা প্রাণে বেঁচে যান।