বেলকুচি থানায় মেয়র ও ছাত্রলীগ নেতার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
বেলকুচি পৌর মেয়র ও অব্যাহতি প্রাপ্ত উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সাজ্জাদুল হক রেজাসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ করেছেন এক ছাত্রলীগনেতা। আবার মেয়র সমর্থকরাও ছাত্রলীগনেতাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছে। গত ২০ আগস্ট রোববার বিকেলে এই অভিযোগ করা হয়।
বেলকুচি পৌর সভার ৫নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি তারিফ ও সাধারণ সম্পাদক নাইম সরকারের ওপর হামলা, নগদ ৪০ হাজার টাকা ও ৩০ হাজার টাকার মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের অভিযোগ এনে থানায় অভিযোগ করেন তারিফ।
এ বিষয়ে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাশার বলেন, মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে আবার মেয়রের সমর্থকরা ছাত্রলীগনেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। এটি তেমন কোনো ঘটনা না। নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। অভিযোগগুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বেলকুচি পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি তারিফের অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি গত ১৬ আগস্ট বিকেলে গাড়ামাসী উত্তরপাড়া পাকা রাস্তা দিয়ে বাড়ির দিকে আসছিলেন। স্থানীয় সাইদুল ইসলামের বাড়ির সামনে আসা মাত্র পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ও পূর্ব শক্রতার জেরে পৌরসভার মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজার হুকুমে আসামিরা তাঁর ও তাঁর সঙ্গে থাকা ৫নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাইম সরকারের ওপর অতর্কিত হামলা করে। তারা অকথ্য ভাষায় গালাগাল এবং এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মেয়ে জখম করে। এ সময় আসামিরা নগদ ৪০ হাজার টাকা ও ৩০ হাজার টাকা মূল্যের মোবাইল ফোন ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
এই ঘটনার জেরে গত ১৮ আগস্ট বিকেলে মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজার নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫টি মোটরসাইকেল নিয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ১৫ থেকে ২০ জন পুনরায় হামলার উদ্দেশ্যে গাড়ামাসী গ্রামে আসে এবং গ্রামবাসীকে ভয়ভীতি দেখায়। তারা বাড়িঘর ভাঙচুর করে। এ সময় গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে তাদের ধাওয়া করলে একটি মোটরসাইকেল ফেলে চলে যায় তারা। পরে পুলিশ এসে মোটরসাইকেলটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনার পর থেকে মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজা ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। মেয়র রেজা স্বতন্ত্রপ্রার্থী হয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তিনি সাবেক মৎস্য ও প্রাণী সম্পদমন্ত্রী এবং সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের স্ত্রী নৌকার প্রার্থী আশানুর বিশ্বাসকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন।
এ বিষয়ে বেলকুচি পৌরসভার মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজার সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তিনি ফোন রিসিভ করেননি। মেয়র সমর্থকদের অভিযোগের বিষয়েও বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।