জামায়াতে নামাজ পড়ে বাইসাইকেল পেল ১৭০ স্কুলশিক্ষার্থী
নিয়মিত নামাজ পড়ায় বাইসাইকেল উপহার পেল বরিশালের ১৭০ স্কুলশিক্ষার্থী। গতকাল রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নগরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে স্কুলশিক্ষার্থীদের মধ্যে এই বাইসাইকেল বিতরণ করেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।
গত রমজানে মাসে জামাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা সব স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে সাইকেল উপহার দেওয়ার ঘোষণা দেন ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাজিব। পরে এ সংক্রান্ত ব্যানার টাঙিয়ে দেওয়া হয় ১৬নং ওয়ার্ডজুড়ে। সে অনুযায়ী ১৬নং ওয়ার্ডের শিক্ষর্থীরাও নগরীর ব্রাউন কম্পাউন্ড জামে মসজিদে জামাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় শুরু করে। এর আগে ১৭০ শিক্ষার্থী তাদের নিজ নিজ জন্মনিবন্ধনের কপি, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ডের ফটোকপি, বাসার বিদ্যুৎ বিলের কপি ও মা-বাবার আইডি কার্ডের ফটোকপি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে।
সাইকেল উপহার পাওয়া ১৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রেজাউল হকের ছেলে ৯ম শ্রেণির ছাত্র ছাব্বির বলেন, ‘আমি সবসময় জামাতে নামাজ আদায়ের চেষ্টা করতাম। তার মধ্যে রাজিব ভাইয়ের এই ঘোষণা শুনে নামাজ পড়ার উৎসাহ আরও বেড়ে গেছে। এখন বাইসাইকেল পেয়ে অনেক ভালো লাগছে।’
আরেক শিক্ষার্থী আবু তালিব বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই মা-বাবার কাছে একটি বাইসাইকেলের আবদার করে আসছিলাম। অবশেষে জামাতের সহিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে নিজেই বাইসাইকেল উপহার পেয়ে খুব খুশি হলাম।’
শিক্ষার্থীদের এক অভিভাবক ১৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শাহীন আহমেদ বলেন, ‘কাউন্সিলরের এমন আয়োজনের পর অনেক শিক্ষার্থীই জামাতে নামাজ আদায়ে উৎসাহি হয়েছে। নিঃসন্দেহে এটি একটি ভালো উদ্যোগ ছিল তার। এমন উদ্যোগ সব ওয়ার্ডের প্রতিনিধিদের নেওয়া উচিত।
এ ব্যাপারে ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. রাজিব হোসেন বলেন, মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ভাইয়ের নির্দেশনায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জামাতের সহিত নামাজ আদায়ে উদ্বুদ্ধ করতেই মূলত এই আয়োজন করা হয়েছিল। তা ছাড়া শিশুদের মধ্যে যে হারে মোবাইল ফোন আশক্তি বেড়েছে, মাদকের যে ভয়াবহতা বেড়েছে, তা থেকে স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের দূরে রাখতেই এই আয়োজন।
কাউন্সিলর রাজিব আরও বলেন, ‘মাঝে সিটি নির্বাচন সংক্রান্ত বিভিন্ন ব্যস্ততায় বাইসাইকেল বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কটু কথাও শুনতে হয়েছে। অবশেষে সাদিক আবদুল্লাহ ভাইয়ের সহযোগিতায় বাইসাইকেল বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পেরেছি। আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত আমার কাউন্সিলরের মেয়াদ রয়েছে। যদি আবার কোনো দিন ওয়ার্ডবাসীর সেবা করার সুযোগ পাই তাহলে আরও ভালো কিছু করব।’