গোপালগঞ্জের বর্ণির বাওড়ে ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিধন্য গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার বর্ণির বাওড়ে মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হয় আবহমান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা। টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বর্ণি ইউনিয়নবাসীর আয়োজনে এ বাইচের আয়োজন করা হয়।
দীর্ঘ বছর ধরে এখানে এ নৌকাবাইচের আয়োজন করা হয়। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা বিভিন্ন বয়সের হাজার হাজার নারী-পরুষ, শিশু-কিশোর-কিশোরী এ নৌকাবাইচ উপভোগ করেন। ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ উপলক্ষে বাওড়ের দুই পাড়ে বসে গ্রামীণ মেলা।
বিনোদনের জন্য এ দিনটির অপেক্ষা করে থাকেন এ এলাকারসহ আশপাশের বহু গ্রামের মানুষ। উপভোগ করেন কাসির তালে তালে মাল্লাদের গাওয়া জারি সারি আর বৈঠার সলাৎ সলাৎ শব্দ।
এ নৌকাবাইচে গোপালগঞ্জ জেলা ছাড়াও খুলনা, বাগেরহাট, নড়াইলসহ বিভিন্ন জেলার প্রত্যন্ত গ্রামের বাছারি নৌকা অংশ নেয়। বেলা ২টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এ নৌকাবাইচ। বাওড়ের মধ্যে ছোট বড় অসংখ্য নৌকা ও ট্রলারে বসে নানান বয়সী নারী পুরুষ উপভোগ করেন বাইচ।
এছাড়া বাওড়ের দুই পাড়ে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার মানুষও উপভোগ করেন এ দৃষ্টিনন্দন নৌকাবাইচ। মেলা উপলক্ষে বাওড়ের দুই পাড়ে গ্রামীণমেলা বসে। এ মেলায় মিষ্টি, চানাচুর, চটপটি. ফুসকাসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার ও শিশুদের খেলনাসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের পসরা নিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা।
খুলনা থেকে আগত মামা-ভাগ্নের জলপরী নৌকা প্রথম, গোপালগঞ্জের বর্ণি গ্রামের স্বপ্নের তরী দ্বিতীয় ও জোয়ারিয়া গ্রামের জয় মা দুর্গা নৌকা তৃতীয় স্থান অধিকার করায় প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বিজয়ীদের হাতে ফ্রিজ উপহার তুলে দেন। এছাড়াও অংশ নেওয়া প্রতিটি নৌকাকে সান্ত্বনা পুরস্কার হিসেবে মনিটর তুলে দেন অতিথিরা।
এসময় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ লুৎফর রহমান বাচ্চু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. খায়রুল আলম, অন্যতম আয়োজক খালিদ হোসেন জমাদ্দার, রমজান আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।