অটোরিকশাচালক হত্যায় জড়িত অভিযোগে সাতজন গ্রেপ্তার
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় অটোরিকশাচালককে হত্যা ও রিকশা ছিনতাইয়ের জড়িত তিনজন এবং চোরাই অটোরিকশা কেনা ও বিক্রিচক্রের চারজনসহ মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকালে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান শেরপুরের পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম।
গ্রেপ্তার হওয়া শামীম (২৫), হামিদ ওরফে সুজা (২৪), সোহেল রানা (২৫) হলেন মূল হত্যাকারী। এদের জিজ্ঞাসাবাদে অটোরিকশা ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত বাবুল, আবেদ আলী ওরফে ফকির, জাহিদ হাসান ও ফরহাদ আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ৩০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে নিহত আরব আলী তার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে ভাড়ার উদ্দেশে বের হন। তাঁকে ভাড়ার কথা বলে গ্রেপ্তার করা তিনজন ঝিনাইগাতী সীমান্ত সড়কের রাংটিয়ায় নিয়ে যান। সেখানে ছুরিকাঘাতে আরব আলীকে হত্যা করে অটোরিকশাটি ছিনতাই করেন তাঁরা। পরে রিকশাটি চোরাই রিকশা ক্রয়-বিক্রয় চক্রের গ্রেপ্তারকৃত চারজনের কাছে বিক্রি করে দেন।
পুলিশ সুপার জানান, শেরপুর জেলা পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার যৌথ তদন্তে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ঝিনাইগাতী থানায় মামলা হয়েছে।
নিহত আরব আলী ঝিনাইগাতী উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের বনগাঁও পূর্রপাড়া গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে। ৩০ সেপ্টেম্বর তিনি নিখোঁজ হন। গত ২ অক্টোবর তাঁর মরদেহ ঝিনাইগাতী উপজেলার ভারতীয় সীমান্ত সংলগ্ন সীমান্ত সড়কের রাংটিয়া নামক স্থানের একটি খাল থেকে উদ্ধার করা হয়।