ট্রিপল মার্ডারের রহস্য উদঘাটন, হত্যাকারী গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ত্রিপল মার্ডারের ঘটনায় জড়িত মূলহোতা জহিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সিরাজুল ইসলাম।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নরসিংদী জেলার মাধবদী উপজেলা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বাড়ি মাধবদীতে এবং নিহত জেকি আক্তারের ভাগ্নি জামাই।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, জেকি আক্তারের বড় বোন শিল্পী আক্তারের মেয়ে আনিকা আক্তারের সঙ্গে স্বামী জহিরুলের পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গত সোমবার খালাশাশুড়ি জেকি আক্তারের বাড়িতে আসেন জহিরুল। এ নিয়ে আলোচনার সময় জেকি আক্তার ও জহিরুলের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে জহিরুল রাত সাড়ে ১১টার দিকে জেকি আক্তারকে কুপিয়ে হত্যা করেন। এ সময় ঘুমিয়ে থাকা বড় ছেলে মাহিন এগিয়ে এসে চিৎকার শুরু করলে তাকেও মুখে গামছা পেঁচিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করেন। এ সময় মহিন তা দেখে জহিরুলকে চিনে ফেলায় তাকেও বাথরুমের দরজার সামনে ফেলে গলায় বাটাল ঢুকিয়ে হত্যা করেন। তবে জেকির কন্যাসন্তান অজিফা সাত মাসের শিশু হওয়ায় তিনি তাকে হত্যা করেননি। এরপর ওই বসত ঘরের গেইটে বাহির থেকে তালা দিয়ে পালিয়ে যান তিনি। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার নিহত জেকি আক্তারের বাবা হাজি আবুল হোসেন বাদী হয়ে বাঞ্ছারামপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, জহিরুল হত্যার দায় স্বীকার করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট স্বাগত সৌম্যের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। ঘটনার পেছনে আরও কোনো কারণ রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার চরছয়ানি গ্রামে সৌদি প্রবাসী মো. শাহ আলমের স্ত্রী জেকি আক্তার ও দুই ছেলে মাহিন ও মহিনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় নিহত জেকির সাত মাস বয়সী কন্যাশিশু অজিফাকে।