নির্মাণাধীন ভবনের মেঝের নিচে নারীর অর্ধগলিত মরদেহ
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় নির্মাণাধীন একটি ভবনের মেঝের নিচ থেকে এক নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দিনগত রাতে উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম শানবান্ধা গ্রামে ওই ভবনে দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে মরদেহের সন্ধান পায় স্থানীয় লোকজন।
ওই নারীর পরিচয় নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। তাঁর বয়স আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০ বছর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সদর থানার পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিম শানবান্ধা গ্রামের বাবুল মিয়া (৪৫) বাড়িতে একতলা ভবন নির্মাণ করছেন। পরিত্যক্ত ওই বাড়িতে নির্মাণাধীন ওই ভবনটির দরজা-জানালা এখনও লাগানো হয়নি। বাড়িতে কেউ থাকেনও না।
গতকাল সন্ধ্যায় প্রতিবেশী আবদুস সালাম ওই ভবনের পাশ দিয়ে নিজের বাড়িতে যাওয়ার সময় দুর্গন্ধ পান। এরপর তিনিসহ স্থানীয় লোকজন ওই ভবনের একটি কক্ষে দুর্গন্ধ অনুভব করেন। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। এরপর সদর থানা পুলিশের নির্দেশনায় গ্রামপুলিশের সহায়তায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য শামসুল হক ভবনের ফটকের তালা ভেঙে ভেতরে যান।
ইউপি সদস্য শামসুল হক জানান, ভবনের ভেতরে ঢুকে তিনি পশ্চিম-উত্তর পাশের একটি কক্ষের কাঁচা মেঝে থেকে দুর্গন্ধ পান। পরে মেঝের মাটি সরালে তাঁরা ওই নারীর বাম হাতের কবজি দেখতে পান। তখন বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।
খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় মাটি খুঁড়ে রাত ১২টার দিকে ওই নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
ইউপি সদস্য শামসুল হক জানান, ওই বাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনটির মালিক বাবুল মিয়া। কেউ না থাকায় বাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। বাবুল কোথায় থাকেন, তা এলাকাবাসী নিশ্চিত নন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রউফ সরকার বলেন, উদ্ধারের সময় অর্ধগলিত মরদেহের গায়ে কোনো জামাকাপড় ছিল না। এক অথবা একাধিক ব্যক্তি ওই নারীকে ধর্ষণ করে হত্যা করে মরদেহ ওই ভবনের কক্ষের মেঝেতে নিচে মাটিতে পুতে রাখতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।