সাংবিধানিকভাবেই দেশে সব ধর্মের নাগরিকের সমান অধিকার : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
বাংলাদেশের সংবিধানের সব ধর্মের নাগরিকের সমান অধিকার রয়েছে উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আমরা লড়াই করেছিলাম ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সব অন্যায়, অত্যাচার ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। আমাদের সংবিধানের অন্যতম মূলনীতি হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষতা, যা সব ধর্মের অধিকারের নিশ্চয়তা দেয়।’
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার বারিধারা ডিওএইচএস পূজা কমিটি আয়োজিত সর্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান।
‘কোনো ধর্মই অন্য কোনো ধর্মকে অবজ্ঞা, অবহেলা ও অসম্মান করার শিক্ষা দেয় না’ উল্লেখ করে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু দুষ্কৃতকারী ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা আদায় করার জন্য সহজ সরল মানুষকে ধোঁকা দেয়।’
ধর্মীয় বিভাজন সৃষ্টিকারীদের হতে সাবধান থাকার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষের সমান অংশগ্রহণ প্রয়োজন।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’ নীতিতে উদ্বুদ্ধ হয়ে দুর্গাপূজা উৎসবের সর্বাঙ্গিন সফলতা কামনা করেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী।
ফেসবুকসহ সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর মতো হীনকাজের বিষয় সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেকোনো তথ্য নিশ্চিত না হয়ে বিশ্বাস করা যাবে না।’
ইসলাম ধর্ম কখনোই অন্য ধর্মের উপর আঘাত করতে বলে না উল্লেখ করে মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ধর্মীয় সহনশীলতা ইসলাম ধর্মের অন্যতম সৌন্দর্য। বাংলাদেশের সংখ্যাগুরু অথবা সংখ্যালঘু বলে কোনো বিষয় নেই, আমাদের সবচেয়ে বড় পরিচয় আমরা মানুষ ও বাংলাদেশি।’