বিএনপি ও জামায়াতের ১০ জনকে কারাদণ্ড
রাজধানীর গেণ্ডারিয়ায় পুলিশের গাড়িতে ২০১৩ সালে পেট্রোল বোমা ও ভাঙচুরের মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ১০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদী এই রায় ঘোষণা করেন।
এদিন বিচারক আসামি মকবুল হোসেন টিপু ওরফে কমিশনার টিপু, আব্দুল কাদের, রফিকুল ইসলাম ওরফে ময়না, ওমর নবী ওরফে বাবুকে দণ্ডবিধির ৪৩৫ ধারায় ও ১০৯ ধারায় আড়াই বছর কারাদণ্ড এবং দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেন। সে অর্থদণ্ড দিতে ব্যর্থ হলে অনাদায়ে আরও সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
অপরদিকে একই মামলায় আসামি জাবের হোসেন, সাইফুল ইসলাম, জাবের হোসেন, সাইফুল ইসলাম, মো. সালেহ, মাহমুদ হোসেন ওরফে রবিন, মো. লিটন ও মাহবুবুর রহমানকে দণ্ডবিধির ১৪৩ ধারায় ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড এবং দণ্ডবিধির ৪৩৫ ধারায় আড়াই বছর কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ের সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন। এদিকে রায়ের সময় আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
নথি থেকে জানা গেছে, ২০১৩ সালের গত ৯ ডিসেম্বর ভোর ৮টায় ১৮ দলীয় জোটের অজ্ঞাতনামা জামায়াত শিবিরের ও বিএনপির ১২ থেকে ১৩ জন কর্মী হত্যার উদ্দেশে পুলিশের গাড়ি উদ্দেশে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। সে সময় ইটের আঘাতে গাড়ির গ্লাস ভেঙে যায় এবং ১৮ দলীয় নেতা ও জামায়াত শিবিরের সমর্থকরা বেআইনি জনতাবদ্ধে হত্যার উদ্দেশে লাঠিসোটা, ইট পাটকেল ও পেট্রোল ছিটিয়ে আগুন জ্বালিয়ে এক লাখ টাকার ক্ষতির সাধন করে।
এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ৯ ডিসেম্বর পুলিশের গাড়ির ড্রাইভার নায়েক হেমন্ত কুমার রায় বাদী হয়ে রাজধানীর গেণ্ডারিয়া থানায় দণ্ডবিধির ১৪৩/৪৩৫/৩০৭/৪২৭/৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করেন। এর পরে পুলিশ তদন্ত শেষে ঢাকার সিএমএম আদালতে ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সেই মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে প্রায় ১০ বছর পরে এই রায় ঘোষণা হলো।