নাশকতার মামলায় বিএনপির নেতাকর্মীসহ ৩৮ জনের কারাদণ্ড
রাজধানীর দক্ষিণখান থানার নাশকতার মামলায় বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল ও শিবিরের ৩৮ জন নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পৃথক দুই ধারায় তাদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই মামলায় ৮০ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঈনুল ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন, ‘বিচারক দণ্ডবিধির পৃথক দুই ধারায় ৩৮ জনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন। এরমধ্যে দণ্ডবিধির ১৪৭ ধারায় দেড় বছরের সাজা ও দণ্ডবিধির ৩৫৩ ধারায় আড়াই বছরের সাজা দিয়েছেন। তবে, দুই সাজা একসঙ্গে চলবে বলে আসামিদের আড়াই বছরের কারাদণ্ড ভোগ করলেই হবে বলে রায়ে বলা হয়েছে।
সিরাজুল ইসলাম আরও বলেন, এই মামলায় বিচারক ৮০ জনকে খালাস দিয়েছেন। কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন—বিএনপির উত্তরখান থানার সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন সরকার, উত্তরখান যুবদলের সাংগঠিনক সম্পাদক মো. ইয়াকুব আলী, তুরাগ থানার ৫নং ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. মোকলেস, উত্তরখান বিএনপির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন, উত্তরখান বিএনপির সহসভাপতি মো. শেখ নূর মোহাম্মদ, উত্তরখান বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন অর রশিদ হারুন, উত্তরখান জাসাসের সভাপতি মো. তোফাজ্জল হোসেন ওরফে মিঠু, উত্তরখান বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সরকার রফিকুল ইসলাম মুকুল, উত্তরখান ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম মোস্তফা, উত্তরখান যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. মোজাফফর হোসেন বাদল, উত্তরখান ইউনিয়ন যুবদলের সহসাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, উত্তরখান যুবদলের সাংগঠনিক সম্পদক মো. ইয়াকুব আলী, উত্তরখান যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সফিল উদ্দিন, উত্তরা পূর্ব থানা সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. শরীফ হোসেন, তুরাগ থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রিপন মিয়া, উত্তরখান থানা বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক মো. লুৎফর রহমান ওরফে খোকন, তুরাগ থানার ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. শাহিন মিয়া, তুরাগ থানা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সরোয়ার হোসেন, তুরাগ থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রিপন সরকার, তুরাগ থানা ১নং ওয়ার্ডের সক্রিয় সদস্য রাজীব, মো. দুলাল মিয়া, আবু বকর সিদ্দিক, মো. শাহিন, মো. মামুন, আব্দুল আলী ওরফে আব্দুল আলীম, শামসুল হক রিপন, নুরুজ্জামান হাওলাদার ওরফে সোহেল, আনোয়ার হোসেন বকুল, মো. কামাল হোসেন, শাহআলম, দীন ইসলাম, বাদশা ওরফে মো. আব্দুর রহিম বাদশা ও মো. শফিকুল ইসলাম শফিক।
নথি থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রাজধানীর দক্ষিণখান থানা এলাকায় বিভিন্ন রকম নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করে আসামিরা। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দক্ষিণ খান থানায় বাদী হয়ে মামলাটি করে। এরপরে পুলিশ তদন্ত করে ১১৮ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এরপরে আসামিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে সাক্ষীরা সাক্ষ্য দেন। ৩৮ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে সাজার রায় ঘোষণা করেন বিচারক।