বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও  কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) মো. আখতারুজ্জামান রঞ্জন বলেছেন, দলটি নিয়ে তিনি লজ্জাবোধ করেন। কারণ, দলটির মহাসচিব কারাগারে থাকলেও ফাঁকা বুলি ছাড়া আর কোনো কিছুই করতে পারছে না তারা। 

রঞ্জন প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিনের বিষয়ে দলটি নিষ্ক্রীয় বলে দাবি করেছেন। বলেছেন, ‘বিএনপি মহাসচিবের জামিন হয় না। অথচ, দলটি কেন আজকে হরতাল দেয় না। এই শূন্য নেতৃত্ব দিয়ে আর কতদিন চলবে। ফাঁকা বুলি দিয়ে আর কতদিন চলবে। দলের মহাসচিবকে হাইকোর্ট থেকে জামিন দেয় না আর বিএনপি বসে বসে আঙ্গুল চোষে। উই শেইম ফর বিএনপি।’

রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশনে আজ শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) এসব কথা বলেন আখতারুজ্জামান।

দ্বাদশ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মনোনয়নপত্র তুলেছিলেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত এই নেতা। তবে, হলফনামায় মামলার তথ্য গোপন করায় মনোনয়নপত্র বাতিল করে ইসি। প্রার্থিতা ফিরে পেতে আজ ইসিতে এসে আবেদন করেন  আখতারুজ্জামান। আবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলেন তিনি।

আখতারুজ্জামান বলেন, ‘বিএনপি থেকে বেরিয়ে এসে ভোট করাটা চ্যালেঞ্জের না। আমাকে যে দেড় বছর ধরে বহিষ্কার করে রেখেছে, তাহলে বিএনপির সিলটা আমার ব্যবহার করাটাই অন্যায় ছিল। বিএনপির সিলটা যে আমি এতদিন ব্যবহার করেছি, এটাই তো অন্যায় করেছি। আমাকে তো ন্যূনতম সদস্য হিসেবেও রাখেনি। আমি স্বাধীন, স্বতন্ত্র হয়ে গেছি। আমি কোথাও যায়নি। এটা কী আমার অপরাধ হলো?’  

সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন ,‘আমি বিএনপির বর্তমান কার্যকালাপের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ করেছি। আমি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ করেছি। উনি দলটি যেভাবে চালাচ্ছেন, সেভাবে আমাদের দলের সর্বনাশ হয়ে যাচ্ছে। হাজার হাজার নেতাকর্মী আজ গৃহহারা, পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আমাদের মহাসচিবকে উচ্চ আদালত জামিন দেয় না। এর চেয়ে নির্মমতা কী থাকতে পারে, এর দায় দায়িত্ব কার?’