পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখতে যৌথ অভিযান
দিনাজপুরে পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং টিম ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের যৌথ অভিযান শুরু হয়েছে।
আজ রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহকারী কমিশনার দিপংকর বর্মণের নেতৃত্বে একটি দল বের হয়। এদিকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মমতাজ বেগমের নেতৃত্বে অপর একটি দল বের হয়।
দল দুটি শহরের বাহাদুর বাজার ও মালদাহ পট্টি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। বাহাদুর বাজারে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রাখতে অভিযান শুরু করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
এ সময় বাহাদুর বাজারে দুটি দোকানে পেঁয়াজের বেশি দাম নেওয়া এবং মূল্য তালিকা না থাকায় পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হবে।
জেলা প্রশাসনের মনিটরিং টিম বাজারে বিক্রেতাদের সতর্ক করে দিচ্ছে। এই সতর্কবাণী কোনো বিক্রেতা না শুনলে অর্থাৎ পেঁয়াজের দাম বেশি নিলে পরবর্তী সময়ে জরিমানা করা হবে।
বাজার নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মমতাজ বেগম। তিনি বলেন, প্রথমদিকে আমরা সতর্ক করে দিচ্ছি। এর পরও যদি কোনো ব্যবসায়ী আমাদের কথা না শুনে তাহলে জরিমানা করা হবে।
মনিটরিং টিম এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান শুরু করলে অনেক দোকান মালিক দোকান ফেলে সটকে পড়েন।
ব্যবসায়ীরা ২০০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করলেও মনিটরিং টিম ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর আসামাত্রই তারা পেঁয়াজের দাম কমিয়ে কিছুক্ষণের জন্য ১৫০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা দরে বিক্রি করে। মনিটরিং টিম চলে যাওয়ার পর আবারও আগের নিয়মে ফিরে যায় তারা।
বাজারে নতুন পেঁয়াজ উঠায় কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছে ক্রেতারা। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নতুন পেঁয়াজ পাতাসহ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা দরে। নতুন পেঁয়াজ পরিপূর্ণভাবে বাজারে আসতে আরও সময় লাগবে।
এদিকে পাইকারদের কাছে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মজুদ থাকলেও তারা খুচরা বিক্রেতাদের কাছে পেঁয়াজ ছাড়ছে না। পাইকারি বিক্রেতা গাজী জানান, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি না হলে পেঁয়াজের দাম আরও কিছুটা বাড়বে বলে তিনি মনে করেন।